এক স্বভাব বন্ধুকে স্মরণ

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামাল

ডা. প্রবীর কুমার দাশ | সোমবার , ৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ

‘এক একটি লোক আছেন পৃথিবীতে তাঁহারা বন্ধু হইয়াই জন্মগ্রহণ করেন। মানুষকে সঙ্গদান করিবার শক্তি তাদের অসামান্য এবং স্বাভাবিক। আমরা সকলেই পৃথিবীতে কাহাকেও না কাহাকেও ভালোবাসি। কিন্তু ভালোবাসিলেও বন্ধু হইবার শক্তি আমাদের সকলের নাই। বন্ধু হইতে গেলে সঙ্গদান করিতে হয়। অন্যান্য সকল দানের মতো এ দানেরও একটি তহবিল দরকার। কেবল মাত্র ইচ্ছাই যথেষ্ট নহে। রত্ন হইতে জ্যোতি যেমন সহজেই ঠিকরিয়া পড়ে, তেমনি ক্ষমতাশীল মানুষের জীবন হইতে সঙ্গ আপনি বিচ্ছুরিত হইতে থাকে। প্রীতিতে, প্রসন্নতাতে, সেবাতে, শুভ ইচ্ছাতে এবং করুনাপূর্ণ অন্তর দৃষ্টিতে জড়িত এই যে সহজ সঙ্গ, ইহার মতো দুর্লভ সামগ্রী পৃথিবীতে অতি অল্পই আছে। কবি যেমন আপনার আনন্দকে ভাষায় প্রকাশ করেন, তেমনি যাহারা স্বভাব বন্ধু তাঁহারা মানুষের মধ্যে আপন আনন্দকে প্রতিদিনের আনন্দে প্রকাশ করিয়া থাকেন’। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পথের সঞ্চয়’ গ্রন্থের এই বর্ণনা প্রয়াত অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামালের ক্ষেত্রে যথোপযোগী। কামাল ভাই ছিলেন তেমনি একজন স্বভাববন্ধু। স্বভাবজাত বন্ধুত্বের ডোরে তিনি আবদ্ধ করেছিলেন তার সহকর্মী, সহপাঠী, অগ্রজ, অনুজ, চিকিৎসক, রোগী ও সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে সকলেই তার এই বিরল বন্ধুত্বের সন্ধান লাভে সমর্থ হয়েছিলেন। আমি সেই অগনিতদের অন্যতম। কামাল ভাই গত ১৩ জুলাই কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ঢাকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোক গমন করেন। উনার জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জামিরজুরী গ্রামে। প্রখর মেধার অধিকারী কামাল ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৬ তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, ইউএসটিসির হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক, ঢাকাস্থ জাতীয় হৃদরোগ প্রতিষ্ঠান (এনআইসিভিডি)এর আরপিও পরবর্তীতে সহ-অধ্যাপক। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় রংপুর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন।মএকটা সময় তিনি সৌদি আরবের নাজরান জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার উচ্চ একাডেমিক জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি তাকে ২০১৩ সালে সম্মানসূচক ফেলোশিপ (এফএসিসি) প্রদান করে। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। অসংখ্য সংগঠনের সাথে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন, যার ফিরিস্তিতে এই লেখার কলেবর তার সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কামাল ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৮৯ সালে আমার এমডি (কার্ডিওলজি) লিখিত ভর্তি পরীক্ষার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে। পরীক্ষা কেন্দ্র এনআইসিভিডির বিপরীত দিকে অবস্থিত ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল। সেদিন পরীক্ষা হলে কোন সিট বসানো হয়নি। এই আইসিভিডির আরপি কামাল ভাই সবাইকে বসিয়ে দিচ্ছেন নিজের মত করে। আমি আগেই জানতাম কামাল ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। আমি তার সাথে পরিচিত হই। সাথে সাথে কামাল ভাইয়ের দরদি কণ্ঠের স্নেহ মাখা আহবান, ‘তুমি আমার বাড়ির লোক। যেখানে তুমি বসতে চাও, যার সাথে বসতে চাও সেখানে বসো’। কথায় বলে ‘ভরৎংঃ রসঢ়ৎবংংরড়হ রং ঃযব নবংঃ রসঢ়ৎবংংরড়হ্থ। আমাদের দুজনের ক্ষেত্রে তাই সত্যি হলো। আমি সেদিনের সেই অজানা পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষায় আপনজন হিসেবে যে ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামালকে পেয়েছিলাম, তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রিয়জন হিসেবে আমার সাথে ছিলেন। স্বভাব বন্ধু কামাল ভাই তার স্বভাব সুলভ ঔদার্য ও অকৃত্রিম সহমর্মিতা দিয়ে আমার পাশে থেকেছেন একান্ত আপনজন হিসেবে। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক ফিজিশিয়ান ও পরবর্তীতে কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন তাঁকে পেয়েছিলাম কেবল একজন সহকর্মী হিসেবে নয় সহমর্মী হিসেবেও। এই সহমর্মীতা কর্মক্ষেত্র ছাড়িয়ে পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রসারিত ছিল। ১৯৯৯ সালে আমার লেখা প্রথম গ্রন্থ ‘সুস্থ হার্ট’ এর প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীরউত্তম অডিটোরিয়ামে। তদানিন্তন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী প্রয়াত এম, এ মান্নানভাই ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। কামাল ভাই ছিলেন এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে।
কামাল ভাই ছিলেন উচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের আপামর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সাথে তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে জড়িত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একই সুতোয় বেঁধে রেখেছিলেন। ছিলেন তাদের সুখ দুঃখের সাথী। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনিই ছিলেন তাদের ভরসাস্থল। তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের কর্মকাণ্ডকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। তিনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামে বিস্ত্তৃত করতে সদা সচেষ্ট ছিলেন। বিশেষত এখানে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল স্থাপনে একখন্ড জমির আবেদন নিয়ে আমাকে সঙ্গী করে একাধিকবার সিআরবি অফিসে যান। সর্বশেষ তিনি, আমি স্বয়ং এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জনাব আবু সুফিয়ান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনার জন্য সময় নির্ধারিত হয়েছিল। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে তা তখন হয়ে উঠেনি। তিনি চট্টগ্রামে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তার বহুমুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। উল্লেখ্য ঢাকার বাইরে সিলেট সহ আরো অন্যান্য জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হয়েছে। চট্টগ্রামের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার অনুপস্থিতি কামাল ভাইয়ের মর্মপীড়ার কারণ ছিল। এভাবে তিনি তার জন্মস্থান চট্টগ্রামের প্রতি তার মর্মত্ববোধের পরিচয় রেখে গেছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজির সহযোগী অধ্যাপক থাকাকালীন এই বিভাগ সম্প্রসারণ আর জনবল বৃদ্ধিসহ সামগ্রীক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। আমি এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি সবসময় তার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা সমাবেশও সেমিনারে সশরীরে উপস্থিত থেকেছেন। আমাদের উৎসাহিত করেছেন। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এই বিভাগের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। চমেক হৃদরোগ বিভাগের বর্তমান অবকাঠামো ও গুনগত উন্নয়নে প্রয়াত কামাল ভাইয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার স্বীকৃতি স্বরূপ এই বিভাগের হার্ট ফেইলিউর ক্লিনিকটা তার নামে উৎসর্গ করার সাম্প্রতিক উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
কামাল ভাই ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন স্বভাববন্ধু। তিনি ছিলেন আমার বয়োজ্যেষ্ঠ। আশির দশকের শেষের দিকে তাঁর সাথে পরিচয়ের পর থেকে তিনি তার স্বভাব সুলভ ঔদার্য ও বন্ধুত্ব দিয়ে আমাকে প্রীতি ডোরে, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন। দেশের ভিতর কিংবা দেশের বাইরে কোন বৈজ্ঞানিক কনফারেন্সে যোগদানের প্রসঙ্গ আসলে আমরা পরস্পরকে সঙ্গী করার চেষ্টা করতাম। দিল্লি, মুম্বাই, কলিকাতা আমরা দু’জন স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করেছিল। কখনওবা সপরিবারে। ২০২০ সালে দিল্লির হোটেল আশোকে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত কনফারেন্সে আমরা উভইয়েই সপরিবারে অংশ নিই। সেই কনফারেন্সে আমার মৌখিক উপস্থাপনায় কামাল ভাই ছিলেন আমার সার্বক্ষণিক সহচর। দিল্লি থেকে আমি মাকে তীর্থে নিয়ে যাব উত্তরাখণ্ডের হরিদ্ধার আর কামাল ভাই যাবেন আজমীর শরীফ মাজার জিয়ারতে। আমরা ট্রেনের টিকেটের জন্য যাই নয়া দিল্লির পাহারগঞ্জ স্টেশনে। আজমিরের টিকেট সহজে জুটল কিন্তু হরিদ্ধারের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। কামাল ভাই হিন্দি আর ইংরেজির মিশেলে টিকেট কাউন্টারম্যানকে বুঝিয়ে ঠিকই হরিদ্ধারের টিকেট যোগাড় করলেন। এ রকম আরো অনেক পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি আমার পাশে থেকেছেন। কামাল ভাইয়ের সহচর্যে আমি যেমন আশ্বস্থবোধ করতাম তিনিও স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। এই ছিল এক আত্মিক যোগসুত্র। দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরার পথে রাজধানী এঙপ্রেসে কামাল ভাই আমার মা’র পাশে বসে দীর্ঘ আলাপ চারিতায় মগ্ন হন। ভাবতে পারিনি তার নয় বছর পর এই দু’জনের জন্য এক ভয়াবহ মহামারী আসছে। ২০১৮ সালে আমরা দু’জনেই মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সিএসআই কনফারেন্সে যোগদান করি। কনফারেন্সের ফাঁকে আমি আর কামাল ভাই বেড়াতে যাই। এক পার্কে বসে আমরা আড্ডা দিই। হঠাৎ কামাল ভাই এক দর্শনার্থীকে অনুরোধ করেন মোবাইলে আমাদের একটা ছবি তুলে দিতে। সেই ছবিটা আজ স্মৃতি হয়ে রইল।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে ক্লিনিকে ভর্তির ঠিক আগের দিন কামাল ভাই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধানের রুমে এসে দীর্ঘ সময় গল্প গুজবে মগ্ন হয়ে পড়েন। এতে যোগদেন বিভাগের অন্যান্য চিকিৎসকগণ। কামাল ভাই আমার বামদিকে স্বল্প দূরত্বে। তিনি একটু আগেই করোনা টীকার ২য় ডোজ দিয়ে এসেছেন। কথা বলার সুবিধার্থে তিনি মুখের এন-৯৫ মাঙটা খুলে টেবিলে রাখেন। প্রায় ঘণ্টা খানেকের এই আলাপচারিতায় কার্ডিয়াক সোসাইটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এমডি, ডিকার্ড ছাত্রদের পড়াশুনা সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসল। আসল কোভিড প্রসঙ্গও। তখন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দাপট শুরু হয়েছে। ভ্যাঙিন দেয়া ছাড়াও কামাল ভাই ব্যক্তিগত চেম্বারে জীবানুমুক্তকরণ চেম্বার বসিয়েছিলেন। কোভিড প্রসঙ্গে আলোচনায় কামাল ভাইয়ের শেষ মন্তব্য, ‘যে মরে যে বাঁচে’! কথাটা কামাল ভাই নিতান্ত সরল, সাবলীলভাবে বলেছিলেন মনে হলো। তার মধ্যে কি কোন মৃত্যু ভাবনা ভর করছিল ? চট্টগ্রামে কামাল ভাইয়ের অবস্থার অবনতিতে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলো। ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি, ডা. অমল কুমার বসাক স্যার, ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ ভাই সহ অন্যান্য শুভানুধ্যায়ী ঢাকার চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। কামাল ভাইয়ের ছেলে ডা. তাজোয়ার উনার সাথে সার্বক্ষণিক থেকে চিকিৎসার সমন্বয় করেছেন। অবস্থায় কিছুটা উন্নতি হলেও কিডনী ও অন্যান্য জটিলতায় শেষ পর্যন্ত কামাল ভাই চলে গেলেন। আমাদের মধ্যে এক বিশাল অসন্তুষ্টি রয়ে গেল। কামাল ভাইয়ের জন্য আমাদের যা করনীয় তা আমরা করতে পারিনি। কামাল ভাই বন্ধুত্বের যে দান অকাতরে বিলিয়েছেন তার প্রতিদানতো আমরা দিতে পারিনি। তা ঋণ হিসেবেই রয়ে গেল। একদিন থেকে কামাল ভাই সৌভাগ্যবান। বাধ্যকের যাতনা তাকে ভোগ করতে হয়নি। আমরাই দুর্ভাগা য়ারা তার সহজাত, অসামান্য সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হলাম। সংসারের বড় জিনিস প্রীতি, খ্যাতি নয়। খ্যাতি জীবদ্দশায়। কিন্তু প্রীতি অনন্তকালের। প্রতিটি মানুষের গায়ে মৃত্যুর সিলমোহর মারা রয়েছে। মৃত্যু জীবনকে গ্রাস করতে চাইলেও পারে না। মানুষের জীবনে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। এত ভালোবাসা, এত সহৃদয়তা, এত মহানুভবতা-এ সবের পরিণাম কি কেবল ঐ সাড়ে তিনহাত মাটি ? কখনই নয়। কামাল ভাই আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তার কর্মে। সহকর্মী, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, গুণগ্রাহী রোগী ও এদেশের মানুষের মণিকোটায়। কামাল ভাইয়ের বিদেহী আত্মা শান্তিতে থাকুন।
লেখক : প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান কার্ডিওলজি বিভাগ,
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিকিৎসা শ্রমিকের পথচলা : উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটের কারণ ও প্রতিকার
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিয়দেশ-গণতন্ত্র ও বিশ্বব্যবস্থা