এক বছর আগের চড়ের প্রতিশোধ নিতে হামলা

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ফের সংঘর্ষ, আহত ৬

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ২১ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেলস্টেশন এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নীলফামারী জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রায় এক বছর আগে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সিএফসির অনুসারী রাশেদ কোরানীর সঙ্গে সিঙটি নাইনের অনুসারী সংস্কৃত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী কাজল রায়ের কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় রাশেদ কোরানীর বিরুদ্ধে কাজলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। রাশেদ কোরানী সম্প্রতি স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে তার ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ারও কথা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় রাশেদের সঙ্গে কাজলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ঘটনা জানাজানি হলে সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে লাঠি ও রামদা হাতে অবস্থান নেয়। আর সিএফসির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয় শাহ আমানত হলের সামনে। এ দুটি হল পাশাপাশি। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে সিক্সটি নাইন উপপক্ষের তিনজন ও সিএফসি উপপক্ষের তিনজন আহত হন।

সিএফসির অনুসারী রাশেদ কোরানী জানান, এক বছর আগে কাজল তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছিল। এ কারণে তিনি রেগে গিয়ে তাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছিলেন। পরে এ ঘটনার সালিশও হয়েছিল। তবে আজ কাজল তাকে দেখে হঠাৎ করে হামলা করেন। দলবল নিয়ে এসে মারধরও করেন। অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সিঙটি নাইনের কর্মী কাজল রায় জানান, রাশেদ তার সঙ্গে বিভিন্ন সময় অসদাচরণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেও করেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার গতকাল শুক্রবার রাত আটটায় আজাদীকে বলেন, দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি। এরপর উভয় তাদের হলে অবস্থান করেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশা জাগিয়েও হারল পাকিস্তান
পরবর্তী নিবন্ধএমপিদের নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী