রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগর এলাকার কাপ্তাই সড়ক। এ সড়কের একপাশ দেবে গিয়ে নিচের মাটি সরে গেছে। ঠিক বিপরীত পাশে হয়েছে পাহাড় ধস। সড়কের পাশে ড্রেনের পানি চলাচল ও ভারী বৃষ্টিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এই বেহাল পরিস্থিতি হলেও কয়েকটি বস্তা দিয়েই দায় সেরেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে দিন দিন এই স্থানে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাপ্তাই সড়কের একপাশে মাটি দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। অপরপাশে পাহাড় ধসে মাটি চলে আসতে শুরু করেছে সড়কে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ দেবে যাওয়া এই অংশে বেশ কিছু বস্তা দিয়ে লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন পরিবহন।
অটোরিকশা চালক সুমন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে দেবে যেতে দেখা গেছে সড়কটি। পাশে একটি ড্রেন থাকায় মাটি সরে গেছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। কয়েকদিন আগে দেবে যাওয়া স্থানে একটি যাত্রীবাহী বাস অপরদিক থেকে আসা ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে খাদে পড়ে যেতো, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। লাল পতাকা ঝুলানো হলেও সড়কের নিচে মাটি না থাকায় যেকোনো সময় সড়ক ভেঙে যেতে পারে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
কাপ্তাই রোডের বাসচালক হুমায়ূন কবির বলেন, দেবে যাওয়া স্থানে রাস্তায় যানজট না থাকায় গাড়ির গতি বেশি থাকে। দ্রুতগামী গাড়ি সেই স্থানে গেলেই নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। অপরদিকে মালবাহী ট্রাক এলে বাসের গতি কমিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। না দাঁড়িয়ে অতিক্রম করলে সড়ক দেবে গাড়ি গর্তে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আবার দূরপাল্লার যানবাহনের চালকরা রাতের অন্ধকারে বুঝতে না পারলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করা দরকার।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওয়ার্ক সুপারভাইজার রাসেল দেওয়ান বলেন, পাহাড় ধস ও সড়ক দেবে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মাটির বস্তা দিয়ে লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সড়কটি সংস্কার করা হবে সেই ব্যাপারে জানাতে পারেননি তিনি।