দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলকে যথাযথই মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এই সভাপতি বলেন, এটা খারাপ হওয়ার কারণ যেটা, খারাপ বলব? নাকি রিয়েল বলব? খারাপ–ভালো তুলনামূলক বিষয়। বিগত বছরের তুলনা করলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পারসেন্টেজের সংখ্যাটা কম। জিপিএ–৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কম। শতভাগ পাস এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। বেশ কিছু জায়গায় ইন্ডিকেটরে অনেকগুলো ইনডেঙে কমে গেছে। এটি হল বাস্তবতা। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা বোর্ডের অধীন অন্যান্য জেলার তুলনা করলে ফলাফল যথাযথ মনে হওয়ার কথা বলেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান এহসানুল কবির। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে পাশের হার ৮৪ শতাংশ হলেও শরীরতপুর ও গোপালগঞ্জে দেখা যাচ্ছে ৪২ শতাংশ। টাঙ্গাইলে ৪৪ শতাংশ, আবার নরসিংদীতে ৬৮ শতাংশ। রাজবাড়ীতে প্রায় ৪৬ শতাংশ। যে ফলাফল এসেছে, তাকে বাস্তবতা হিসাবে তুলে ধরে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এই বাস্তবতাটা আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। আমরা এই বাস্তবতাটা ফ্যাব্রিকেট করিনি। এখন এটা কেন হল? কীভাবে হল? আপনি যদি বলেন যে, খারাপ হয়েছে, আমি বলব যে না, খারাপ হয়নি। ঢাকা মহানগরীতে খুবই ভালো হয়েছে, বা যথাযথ আছে ওখানে, ঢাকা মহানগরীতে। অথবা বলতে হবে যে ওখানে ৮৪ শতাংশ, তাহলে ১৬% ঢাকা মহানগরীতে কেন ফেল করেছে? তাহলে তো ৮৪টাও খারাপ উদাহরণ। কারণ এই সংখ্যাটাও বিশাল।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, আমাদের বিবেচনা এই যে, উত্তরপত্র মূল্যায়নটা যথেষ্ট ভালোভাবে হয়েছে। এবং সেই হিসাবে যথাযথ ফলাফলটা আমাদের কাছে এসেছে। এখন দেখতে হবে কারা খারাপ করেছে, কোন এলাকায় খারাপ করেছে। আমরা দেখি ঢাকা মহানগর ৮৪ শতাংশ, তাহলে তো মোটামুটি ঠিক আছে পাসের হার।
উত্তরপত্র মূল্যায়নে নম্বর বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা বোর্ড থেকে না যাওয়ার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, আমরা কাউকে কোনো ছক বেঁধে দিইনি বা নির্দিষ্ট করে দিইনি যে, উনি এইভাবে নম্বর ছাড় দেবেন, অথবা ওভারমার্কিং করবেন, বেশি বেশি দিয়ে পাশের হার বাড়াতে হবে, এরকম কোথায় প্রশ্নই না। বোর্ডের তরফ থেকে এটি থাকার কোনো প্রয়োজনই নেই।
সরকারের তরফ থেকেও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না দিয়ে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সংক্রান্ত নির্দেশনা এসএসসির সময় থেকেই দেওয়া রয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে নিয়ম আছে, সেগুলো আমরা স্মরণ করিয়েছি যে, আপনারা অনেকে এখানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত, কীভাবে খাতা দেখতে হয়, দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা সেই অভিজ্ঞতায় যদি কোনো বদঅভ্যাস থেকে থাকে যে, না অসামান্য লিখলে, ভুল লিখলেও এক দুই নম্বর দেওয়া, ওগুলোর প্রয়োজন নাই।