এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় এ পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে আসন গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার। নির্ধারিত সময়ের আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পরীক্ষার্থীদের হাতে সময় রেখে বাসা থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ অসুস্থ বা ডেঙ্গু আক্রান্ত থাকলে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার। তিনি বলেন, কেউ যদি অসুস্থ থাকে, ওই পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক বিষয়টি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (কেন্দ্র সচিব) জানাবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থায়, প্রয়োজনে আলাদা রুমে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। আগে থেকেই এ ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। অসুস্থ থাকলে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক প্রয়োজনে শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোল রুমেও যোগাযোগ করতে পারবেন। গতকাল রাত পর্যন্ত দুজন অসুস্থ পরীক্ষার্থীর খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ৯৩ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। হিসেবে গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৩ জন পরীক্ষার্থী কমেছে চট্টগ্রামে। গতবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ১০২ জন। এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৩৮৯ জন, ছাত্রী ৪৮ হাজার ৫৫০ জন।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮ হাজার ৬৭৫ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৩ হাজার ২১৯ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ৪১ হাজার ৯৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। বোর্ডের অধীন মোট ২৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রামের ৫ জেলা চট্টগ্রাম, কঙবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান মোট ১১১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে ৫০টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিমের পাশাপাশি ৮টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব টিমের সদস্যরা পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করবেন। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সম্পর্কে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
