এইচআইভি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সব পক্ষের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং সেবার কোনো বিকল্প নেই। রোগটি প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বক্তারা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কনফারেন্স হলে ‘এইচআইভি বিষয়ক সহায়তা ও পরিষেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠক’ শীর্ষক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল মওলার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিভি কন্ট্রোল কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. খায়রুজ্জামান। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের উপ–পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, ডা. কাজী সাইফুল ইসলাম, ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী, ডা. রুমা ভট্টচার্য, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বর্ণালী বড়ুয়া, ডা. অজয় কুমার ঘোষ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, মহিলা বিষয়ক উপ পরিচালক আতিয়া চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারি।
সভায় বক্তারা, এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস), যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে এবং তাকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারায় এবং শেষ পর্যন্ত এইডস বা অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম–এর সৃষ্টি হয়, যা একটি মারাত্মক রোগ। এইচআইভি প্রধানত রক্ত, বীর্য, যোনিপথের তরল এবং বুকের দুধের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এইচআইভি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।











