এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৮ জুন, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

বৃষ্টিই কেবল বাধা হতে পারতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে। তা হয়নি। প্রত্যাশা মতো মিরপুরের একমাত্র টেস্ট জিতে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পেয়েছে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জয়।

মিরপুরের একমাত্র টেস্টে সফরকারী আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে রান হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। এর আগে ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ রানে জিতেছিল টাইগাররা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়টিও (২২০ রানে) জিম্বাবুয়ের সাথে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। এছাড়া ঘরের মাঠে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়াম জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানে হারানোর রেকর্ডও ছিল টাইগারদের।

শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে রান বিবেচনায় তৃতীয় বড় জয়ের নজির গড়েছে বাংলাদেশ গতকাল। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম দুটি বড় জয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টি ইংল্যান্ডের। ৯৫ বছর আগে ১৯২৮ সালে নভেম্বর ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল ইংলিশরা। তারপর দ্বিতীয় বড় জয়টি অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের সাথে ৫০৮ রানের বিরাট জয় আছে অসিদের। সেটা ১৯৩৪ সালের আগস্ট মাসের ঘটনা। এখন তৃতীয় বড় জয়টি বাংলাদেশের। এতকাল তৃতীয় জয়টি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯১১ সালে মেলবোর্ন মাঠে ৫৩০ রানের বড় জয় ছিল অসিদের। আফগানদের বিপক্ষে ৫৪৬ রানে জিতে টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শো বছরের ইতিহাসে তৃতীয় জয়টি নিজেদের করে নিল লিটন দাসের দল। তবে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের রেকর্ডও ছিল টাইগারদের।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬৬২ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৪৫ রান করেছিলো আফগানিস্তান। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৬১৭ রান দরকার ছিলো আফগানদের। গতকাল চতুর্থ দিনে পেসার তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা ৩৭ রানে ৪ উইকেট দখলের সুবাদে বাংলাদেশকে খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি। তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। কিছুক্ষণ বাদে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট উপহার দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত টেস্ট খেলতে নেমে শরিফুলের বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন বাহির। ২৫তম ওভারে গতকাল প্রথমবারের মত বোলিংয়ে আসেন আগের দিন ১ উইকেট নেয়া তাসকিন। এরপর আফগানিস্তানের তিন ব্যাটারকে একাই শিকার করে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন তিনি। রহমত শাহকে ৩০, করিম জানাতকে ১৮ ও আহমাদজাইকে ১ রানে শিকার করেন তাসকিন। মাঝে হামজা ৫ রানে মিরাজের শিকার হলে ১১০ রানে ৯ উইকেটে পরিণত হয় আফগানিস্তান। তাসকিনের বলে আফগানদের শেষ ব্যাটার জহির খান হাতে ব্যথা পেয়ে আহত অবসর নিলে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এছাড়া শরিফুল ২৮ রানে ৩টি, মিরাজএবাদত ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা মানেই নির্ভরতা
পরবর্তী নিবন্ধ৫ দিন পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া