বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২১ সালের একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এই তথ্য জানানো হয়। নাটক ক্যাটাগরিতে এবারের একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের আহমেদ ইকবাল হায়দার। তার জন্ম পটিয়ার সুচক্রদণ্ডী গ্রামে। বাবা কায়কোবাদ আহমেদ ও মা জেবুন্নেছা বেগম। ৬ ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি ৪র্থ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বিকাশে যে ক’জন মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে আহমেদ ইকবাল হায়দার অন্যতম। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই নাট্য ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের ‘তির্যক’ নাট্যদলের দলপ্রধান। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ‘তির্যক’ নাট্যদলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় থিয়েটার ইনস্টিটিউট। এর কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৫ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চট্টগ্রামের নাট্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এটি। আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই থিয়েটার ইনস্টিটিউটের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর (শৈল্পিক পরিচালক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় আহমেদ ইকবাল হায়দার গতকাল রাতে আজাদীকে বলেন- ভালো লাগা তো অবশ্যই আছে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, তাও নাটকে। তাই একটু বেশি-ই খুশি লাগছে। সে-ই ১৯৭৫ সাল থেকে আমি নাটকের সাথে জড়িত। এখনো আছি। শুধু এই একটা কাজ-ই তো করি। যদিও ঢাকার বাইরে।
অবশ্য, পুরস্কার প্রাপ্তিতে দায়িত্ববোধ এখন আরো বেড়েছে উল্লেখ করে আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন- যেহেতু এখনো কাজে আছি। এই প্রাপ্তি আমাকে আরো ভালো কিছু করতে অনুপ্রেরণা দেবে। এই পুরস্কার অন্যদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব না করে কাজ করে গেলেও সময়ের পরিক্রমায় ঠিকই কিছু অর্জন হতে পারে।