হতাম যদি বৃক্ষ আমি
মাঠের পাশে ঠাঁই
আমার ছায়ায় শীতল হতো
রাখাল বালকটাই….
মরসুমেতে ফুটতো ফুল
শোভা দিতাম চারপাশে
ফলের ভারে নুয়ে যেতাম
রাখাল খেতো সোল্লাসে….
মনের সুখে ধরতো গান
পাতার বাঁশি দিয়ে
গানের সুরে কোন সুদূরে
হারাতাম এই হিয়ে…..
সারাটাদিন আমার ছায়ায়
মায়ার পরশ মেখে
এলিয়ে দিতো ক্লান্ত শরীর
গামছা খানি রেখে….
তৃপ্ত মনে দৃপ্ত পায়ে
মিষ্টি রোদে নেয়ে
বাড়ির পথে পা বাড়াতো
বাছুর গুলো নিয়ে….
ছোট্ট রাখাল ফিরতো ঘরে
সন্ধ্যে নামার আগে
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে
মাকে পেতো বাগে…..
আমি শুধু দূর থেকে তার
দেখতাম আসা যাওয়া
একদিন সে হবে বড়ো
এই টুকুন’ই চাওয়া…।