এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না : খসরু

| বৃহস্পতিবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন সবাই তাদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। খবর বাংলানিউজের।
খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকে এই প্রেক্ষাপটে কারা জনগণের পক্ষে অবস্থান করছে আর কারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে গিয়ে জাতির বিরুদ্ধাচরণ করছে তা জাতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবো।
যারা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমির খসরু বলেন, উচ্ছিষ্টভোগী হবেন না। আগামী নির্বাচন রাজনীতিবিদদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নির্ভর করছে। এ পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের উত্তীর্ণ হতে হলে জনগণের পক্ষে পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আমরা যে চেতনায়, মানসিকতায়, ইচ্ছায় পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তার তেমন কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র নিরাপদ হবে, পাকিস্তানের বাইশ ধনী পরিবারের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো কিন্তু এর কিছুই আমরা পাইনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এমন একটা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। যারা প্রকাশ্যে ভোট চুরিকে জায়েজ করতে চেষ্টা করে। কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে, কখনো প্রগতিশীলতার স্লোগান দিয়ে, কখনো উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্তে যেতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত হচ্ছে একটু গণতান্ত্রিক বন্দবস্ত। যেখানে নাগরিক অধিকার থাকবে। কোনো শাসক ক্ষমতা দিয়ে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, সমাজে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। সরকার রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আমরা বলছি, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আপনারা বিদায় নেন। কবি ফরহাদ মজহার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন চায় সুতরাং দেশে নির্বাচন হবে, বিএনপির কাজ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অব.) জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেযারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণধিকার পরিষদের আহ্‌বাযক রেজা কিবরিযা প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকার
পরবর্তী নিবন্ধতত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরবে না : কাদের