চলতি বছর সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৫৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে পুরুষ ৪০ জন, নারী ১৩ জন। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বুলেটিনে জানিয়েছে, সবশেষ মক্কায় অবস্থানকালে মারা গেছেন নরসিংদীর মনোহরদীর মো. হারুনুর রশীদ। ৬৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি হজ করতে গত ১৫ মে সৌদি আরব পৌঁছান। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে ৪২ জন মক্কায়, চারজন মদিনায়, জেদ্দায় একজন এবং মিনায় ছয়জন মারা গেছেন। খবর বিডিনিউজের।
সৌদি আরবের হজ আইন অনুযায়ী, বিদেশি কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার মরদেহ নিজ দেশে পাঠানো হয় না। তার দাফন–কাফনের সব ব্যবস্থা করে সৌদি সরকার। কোনো দেশ তার হাজযাত্রীর মরদেহ দাবিও করতে পারবে না। নিয়ম অনুযায়ী, হজযাত্রীদের কেউ মক্কায় মারা গেলে তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয় মক্কার রুশাইফায়। মক্কা, মিনা ও মুজদালিফায় মারা যাওয়া হজযাত্রীদের জানাযা হয় মসজিদুল হারাম বা কাবা শরিফে। মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববীতে জানাজা হয়। জেদ্দা বা অন্য কোনো স্থানে হাজীর মৃত্যু হলে স্থানীয় মসজিদে জানাযা হয়। মারা যাওয়া হাজিদের লাশ বহন ও দাফন–কাফনের খরচও সৌদি আরব সরকার বহন করে থাকে।
হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৯০৯ হাজী। তিনটি এয়ারলাইনসের ৬১টি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও সৌদি আরব থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন। ফিরতি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৭টি, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ২৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ২০টি। হাজীদের ফেরার ফ্লাইট শুরু হয় ২০ জুন। শেষ হবে ২২ জুলাই।