এ পি জে আবদুল কালাম : ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব

| বুধবার , ২৭ জুলাই, ২০২২ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

এ পি জে আবদুল কালাম। পারমানবিক বিজ্ঞানী। দায়িত্ব পালন করেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবেও। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে ছিলেন তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের রামেশ্বরমের এক মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকা মালিক এবং মাতা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানের ছাত্র। কিন্তু ছিলেন বুদ্ধিদীপ্ত ও কঠোর পরিশ্রমী। তার শিক্ষাগ্রহণের তীব্র বাসনা ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি পড়াশোনা করতেন ও অঙ্ক কষতেন। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা। এ পি জে আব্দুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২-২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে ২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ২৭ জুলাই ২০১৫ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণপরিবহনে নারী সংরক্ষিত আসন বাড়ানো হোক
পরবর্তী নিবন্ধআজ বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস