নীলফামারীতে গৃহবধূসহ দুই কন্যাশিশু হত্যার রহস্য দুই মাস পর উন্মোচিত হয়েছে। শিশুদের বাবা আশিকুল হক মোল্লা বিভিন্ন এনজিওর ঋণ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার বর্ণনা দিয়ে এ কথা জানান আশিকুল হক মোল্লা। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীরুল ইসলাম। খবর বাংলানিউজের।
পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে আশিকুল হক মোল্লা জানান, ঘটনার দিন তিনি প্রথমে স্ত্রীকে একটি ঘরে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে অন্য ঘরে নিয়ে একইভাবে দুই শিশুকে হত্যা করেন। এরপর গলা কেটে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানান, হত্যার ঘটনার পর প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে আশিকুল হক মোল্লাকে ছাড়পত্র দেয় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নীলফামারী সদর থানায় এনে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী বন্দর বাজার গ্রামের আশিকুল হক মোল্লার বাড়ির শোবার ঘর থেকে স্ত্রী তহুরা বেগম (৩২), মেয়ে আয়েশা আক্তার (১০) ও জারিন তান্নিমের (৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বাড়ির উঠান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আশিকুল হক মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় প্রতিবেশীরা।