প্রথমে ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) খুলে পণ্য আমদানি করা হয়। সেই ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে খালাস করা হয় সেই পণ্য। পরে আমদানিকৃত পণ্য বিক্রি করে ব্যাংকের এলসির টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে ঋণের টাকা। এ ধরণের ঋণপত্রের সুদাসলে ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যাংক কর্মকর্তা, দুইজন কাস্টমস কর্মকর্তা এবং তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। মামলায় দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৯, ১০৯ সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক দেওয়ান হাট শাখার সাবেক ম্যানেজার ও ফার্স্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জামাল উদ্দিন মজুমদার, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) ও আমদানি শাখার সাবেক এপ্রেইজার মো. সালাহ উদ্দিন তালুকদার, রপ্তানি শাখার সাবেক এআরও মোহাম্মদ মফিজুল্লাহ, আমদানিকারক ব্যবসায়ী নগরীর আসাদগঞ্জের মেসার্স মাররীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ ও তার ভাই টিপু সুলতান এবং মেসার্স লাহিড়ী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী মিসেস স্মৃতি লাহিড়ী।