সামপ্রতিক বাজারে বেড়েছে চাল এবং আলুসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের মূল্য। পেঁয়াজ-রসুনের কথা বাদই দিলাম এগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বলে সেগুলোর দাম বেড়েছে, কিন্তু চাল এবং আলুর মূল্য বেড়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরা কষ্ট পাচ্ছে খুব বেশি। চালের বাজার মূল্য একধাপ বাড়ার পর সামপ্রতিক আরেকদফা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সবজির বাজারও বেশ চড়া সবমিলিয়ে কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাস ওঠেছে। উত্তরবঙ্গে এখনও বন্যা লেগে থাকায় সবজির বাজার চড়া বলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানালেও চাল এবং আলুর বাজার মূল্য কেনো ঊর্ধগতি তার কোনো যুৎসই জবাব মিলছেনা। মাঝে মাঝে পাইকারি চালের আঁড়তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে দেখা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় কোভিড ‘১৯ পরিস্থিতিতে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যসমূহ জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রাখার জন্য সরকার এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রকৃতপক্ষে সবজির মধ্যে আলুই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের প্রধানতম খাদ্য এবং এখাদ্য এক অনাদিকাল থেকেই বাংলার মানুষেরা খেয়ে আসছে। বর্তমান আলুর মূল্য অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এক সময় বলা হত ” বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান ” বর্তমানে আলুর বাজার মূল্য চালের চাইতেও বেশি হওয়ায় সে আপ্ত বাক্য আর ধোপে টিকছে না। এমতাবস্থায় চাল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি।