মিছিল–স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগসহ ২১টি রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বিএনএফ, সুপ্রিম পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণমুক্তি সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি, ন্যাপ, গণফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীরা তাদের কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে দুই রিটার্নিং অফিসারের (চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক) কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নগরীর তিনটি সংসদীয় আসন এবং নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট অপর তিনটিসহ মোট ৬টি আসনের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন বিভাগীয় এই ৬ আসনের রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের কাছে। অপরদিকে জেলার ১০ আসনের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন এই ৬ আসনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগসহ ২২টি রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র মিলে ১৬৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র ৩১জন, যাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ নেতা। এবার চট্টগ্রাম থেকে দুই আসনে সরাসরি দুইজন নারী প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং বন্দর–পতেঙ্গা আসনে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ নেত্রী রেখা আলম চৌধুরী। জেলার ১০টি আসনে ১০৩ জন এবং নগরীর ও নগরীর সাথে সম্পৃক্ত ৬টি আসনে ৬০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, জেলার ১০টি আসনের রিটার্নিং অফিসার আমি। আজকে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিনে সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে তাদের
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমার দপ্তরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছেও প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, কল্যাণ পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাসদ, সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মিছিলে–শ্লোগানে মুখরিত সারাদিন : গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৬ আসনের ১৬৩ প্রার্থী এবং তাদের কর্মী–সমর্থকদের মিছিলে–শ্লোগানে মুখরিত ছিল চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় বিভাগীয় কমিশন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ পুরো এলাকা। নির্বাচনী এই উত্তাপ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন প্রত্যেকেরই মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় তাদের কর্মী–সমর্থকরা মিছিল–শোডাউন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরের মাঠে।
নগরীর নগরী তিনটি আসন চট্টগ্রাম–৯ কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম–১০ ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম–১১ বন্দর–পতেঙ্গার সাথে আংশিক সম্পৃক্ত আরো তিনটি আসনের (চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড এবং নগরীর ২টি ওয়ার্ডসহ, চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারীর সাথে নগরীর ২টি ওয়ার্ডসহ, চট্টগ্রাম–৮ চান্দাগাঁও–বোয়ালখালী উপজেলা) প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে।
অপরদিকে জেলার ১০ আসনের প্রার্থীরা (চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই, চট্টগ্রাম–২ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম–৩ সন্দ্বীপ,চট্টগ্রাম–৬ রাউজান, চট্টগ্রাম–৭ রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম–১২ পটিয়া, চট্টগ্রাম–১৩ আনোয়ারা–কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক), চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া–সাতকানিয়া আংশিক), চট্টগ্রাম–১৬ বাঁশখালী আসনের প্রার্থীরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাইরে শোডাউন : চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে বিশেষ করে মীরসরাই, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, হাটহাজারী, চান্দগাঁও–বোয়ালখালী, ডবলমুরিং, বন্দর–পতেঙ্গা, পটিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া–সাতকানিয়া, বাঁশখালী আসনের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সাথে তাদের কর্মী–সমর্থকরা যেমন মিছিলে–ম্লোগানে ব্যাপক শোডাউন করেছেন, তেমনি দলের স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমাদনের সময়ও তাদের কর্মী–সমর্থকরা ব্যাপক শোডাউন করেছেন।
চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব উর রহমান মীরসরাইয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দল থেকে স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হোসাইন আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), অপর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)। এসময় সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর সাথে বিপুল সংখ্যক ভক্ত–অনুরক্ত উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম–৩ সন্দ্বীপ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার সমর্থনে এলাকার নেতাকর্মীরা এসময় মিছিল–শ্লোগানে উজ্জীবিত করে রাখে পুরো এলাকা। এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসময় তার সাথে সন্দ্বীপের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের এস এম আল মামুন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরানও সীতাকুণ্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ হাটহাজারীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের অপর শক্ত প্রার্থী আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিলেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু এবং আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় কিষাণ চৌধুরী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বতর্মান সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, খোরশেদ আলম সুজন, জহরলাল হাজারী। তিনি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসনে তখন তার সমর্থনে বাইরে নগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যাপক নেতাকর্মী মিছিল–শ্লোগান দেন।
চট্টগ্রাম–১০ (ডবলমুরিং–হালিশহর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বতর্মান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, দেলোয়ার হোসেন খোকাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তার পক্ষে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাইরে ব্যাপক শোডাউন করেন।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের পক্ষে তার ছেলে সরোয়ার আলমসহ বেশ কয়েকজন মিলে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ ব্যাপক শোডাউন করে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বাধীনতা নারী শক্তি সংগঠনের কয়েকশত নারী এম এ লতিফের পক্ষে মিছিল নিয়ে আসেন।
এই আসনে এম এ লতিফের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সুমন। আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরীও এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পটিয়ায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনের বতর্মান সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন। হুইপ যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসনে তখন তার পক্ষে পটিয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের মাঠে ব্যাপক শোডাউন করেন।
চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী গত ২৯ নভেম্বর তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এই আসনে আওয়ামী লীগের মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসময় তার সাথে চন্দনাইশের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে আসেন।
চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসনে। এসময় তার সাথে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাঠে শোডাউন করেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমানও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় বাঁশখালীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল–শ্লোগানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের মাঠসহ আশপাশের প্রাঙ্গণ শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ কবির লিটনও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম–৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া–বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং এই আসনের বতর্মান সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
চট্টগ্রাম–১৩ আনোয়ারা–কর্ণফুলী আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদও গত ২৯ নভেম্বর আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম–৬ রাউজান আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন গত ২৮ নভেম্বর।
চট্টগ্রাম–১৫ লোহাগাড়া–সাতাকানিয়া আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী গত ২৮ নভেম্বর লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রোববার।