নগরবাসীকে হাওয়াই-মিঠাইয়ের প্রলোভন না দেখিয়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ রোধে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জনগণকে ঘরে রাখা। এজন্য সরকার দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউনকালীন ঘরে থাকার সময় জনগণের অপরিহার্য উপাদানগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে। আমরা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকেও সেবা সংস্থাসমূহকে লকডাউন এবং রমজানে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বারবার আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেবা সংস্থার প্রধানরা নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়েও প্রতিশ্রুতি পূরণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। নগরীর আসকার দীঘির পাড়, ঈশান মহাজন রোড, হালিশহর, শরীফ কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি চলছে। লকডাউন ও রমজান ছাড়া ছুটির দিনেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে যা নগরবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি বর্তমানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও কি কারণে নগরবাসী বিদ্যুৎ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলীর প্রতি অনুরোধ, কালবিলম্ব না করে নগরবাসীকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদান করুন।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নগরবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে একের পর এক বৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন এবং অর্থের সংস্থান করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনই নগরবাসীর কাছে নিত্য নতুন গল্প উপস্থাপন করে কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে নগরীর অনেকগুলো এলাকা এখনো ওয়াসার সুপেয় পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। অথচ বৃহৎ প্রকল্পের কারণে ওয়াসার পানির উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু বিতরণ ব্যবস্থার অদক্ষতার কারণে নগরবাসী তার কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না। আমরা ওয়াসার কাছে আশ্বাস নয়, মাঠে আশ্বাসের সঠিক বাস্তবায়ন চাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











