প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য থাকা উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ৯ জনের নাম প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, গত মাসে আমরা একবার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তখন প্রতি পদের বিপরীতে একজনের নাম প্রস্তাব করি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয় প্রতি পদের বিপরীতে তিনজনের নাম প্রস্তাব করার জন্য। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নামগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রস্তাবিত নামগুলো জানতে চাইলে মেয়র বলেন, কৌশলগত কারণে আপাতত নামগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর তিন পদের বিপরীতে চারজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে উপাচার্য পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদিউল আলম, উপ–উপাচার্য পদে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসাইনের নাম প্রস্তাব করে। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে চসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম প্রস্তাব করা হয়।
তবে চসিকের এ প্রস্তাবে সায় দেয়নি মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি মেয়র বরাবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চিঠি পাঠায়। এতে প্রতি পদের বিপরীতে তিনজনের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নিমিত্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন করে ব্যক্তির সমন্বয়ে প্যানেল প্রস্তাব পুনরায় প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এ চিঠির প্রেক্ষিতেই সোমবার নতুন করে প্রস্তাব পাঠায় চসিক।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, উপ–উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ পদত্যাগ করেন। শূন্য হওয়া এ তিন পদে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাময়িকভাবে ২৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইফতেখার মনিরকে।
