বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, যিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটির পর্ষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্ভবত’। তিনি চট্টগ্রামে আছেন এবং আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু জানেন না বলে তুলে ধরেন। এ বিষয়ে আর কোনো প্রশ্নও নেননি তিনি। মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টার দায়িত্বে থেকে নিজের মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে তার এ নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার বিমানের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বশিরউদ্দীনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিমান মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান আইনে অর্পিত সরকারের ক্ষমতাবলে ‘দ্যা কোম্পানিজ অ্যাক্টের’ আওতায় “আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন অব বিমান বাংলাদেশ লিমিটেড” এর অনুচ্ছেদ ৫১ এর অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে বিমান বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর স্থলে এ দায়িত্ব পালন করবেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৯ অগাস্ট বিমান বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান রাষ্ট্রায়ত্ত পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি মুয়ীদ চৌধুরীকে। এক বছরের মধ্যে তিনি সরে দাঁড়ালে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আসে।
এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার গঠন করলে নিয়োগ পাওয়ার ১৯ দিনের মাথায় বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় মুয়ীদ চৌধুরীকে। এর দুই দশক আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মুয়ীদ চৌধুরী বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে থাকেন। ২০০১ সালে লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন মুয়ীদ চৌধুরী।