জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘের প্যানেলের গবেষণা বলছে, প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ২০ ভাগ বিশুদ্ধ পানি কমে যাচ্ছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবসে সংশপ্তক, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান) এবং একশনএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উপকূলীয় সকল মানুষের জন্য নিরাপদ পানির দাবিতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সভায় এমন আরো উদ্বেগজনক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে অনুষ্ঠানের বক্তাদের কাছ থেকে। আলোচনায় প্রধান অতিথি চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনার দুর্বলতায় দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলাসহ দেশের নানা স্থানে মানুষের সুপেয় পানির অধিকার ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীব্যাপী আশংকাজনক হারে সুপেয় পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংশপ্তক’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জয়নাব বেগম চৌধুরী। তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে জনপ্রতি মিঠাপানির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং দুর্বল ব্যবহার ব্যবস্থাপনা, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির প্রাপ্যতা এবং গুণমান দ্রুত অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণ, বিশেষ করে ক্ষুদ্র কৃষক, নারী, শিশুরা নিরাপদ পানির সংকটে জর্জরিত। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরোও বলেন, খাদ্য মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার হলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ বিভিন্ন কারণে তার জনগণের খাদ্য, সুপেয় পানি ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিসশিম খাচ্ছে। কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কৃষি প্রধান দেশের সর্বত্র পানির সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। সংশপ্তকের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক অগ্রদূত দাশগুপ্ত বলেন, বিশ্ব খাদ্য দিবসকে ঘিরে গৃহীত কর্মসূচি পানি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। কারণ পানি কেবল বেঁচে থাকার জন্যেই অপবিহার্য নয়, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।