উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করে হবে বিনোদনকেন্দ্র

নগরে ২৫টি জায়গা চিহ্নিত করল চসিক

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

নগরে উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করে বিনোদনকেন্দ্র করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এজন্য প্রাথমিকভাবে ২৫টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে জরিপ করে শহরে উন্মুক্ত স্থানের তালিকা তৈরি করে সংস্থাটি। সেখান থেকেই বিনোদনকেন্দ্রের জন্য স্থান বাছাই করা হয়। চিহ্নিত স্থানগুলোকে ঘিরে প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। একই প্রকল্পের আওতায় শহরের পুকুর-জলাশয়, খেলার মাঠসহ অন্যান্য উন্মুক্ত স্থান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার আইন (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯-এ বলা আছে, কর্পোরেশন নগরের মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধা ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ উদ্যান নির্মাণ ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে, যা প্রবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সাধারণ উদ্যানের উন্নয়নের জন্য কর্পোরেশন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া কর্পোরেশন নগরের মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে খোলা জায়গার ব্যবস্থা করবে এবং সেটাকে তৃণাচ্ছাদিত করা, ঘেরা দেওয়া এবং মানোন্নয়ন করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আইনের পাশাপাশি সিটি মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে চসিক সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কিছুদিন আগে শহরের উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ ও পুকুর-জলাশয় চিহ্নিত করতে জরিপ করা হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেন। দ্বিতীয় ধাপে বাছাই করা হয় ২৫টি স্থান। বাছাইকৃত স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে জোর ডেবা, ভেলুয়ার দিঘি, আগ্রাবাদ ডেবা, হালিশহর এ ব্লক মাঠ, বহুরূপী ক্লাব মাঠ, এস ক্লাব মাঠ, ষোলশহর ফরেস্ট মাঠ, শেখ রাসেল পার্ক, শাহজাহান মাঠ, এ ক্লাব মাঠ, সিডিএ মাঠ, দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে এবং বহদ্দারবাড়ি পুকুর ও মসজিদ।
চসিকের নগর পরিকল্পনাবদ আবদুল্লাহ আল ওমর আজাদীকে বলেন, প্রথমে আমরা শহরের কোথায় কতটুকু খেলার মাঠ আছে, জলাশয় আছে, উন্মুক্ত স্থান আছে সেটা নিয়ে জরিপ করেছিলাম। মূলত পাবলিক স্পেস করা হবে। সেখানে বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণ আমরা সরবরাহ করব। মানুষ যেন সেখানে এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে তার ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, অনেকগুলো জায়গা আছে যেগুলো সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন না। যাদের জায়গা তাদের সাথে এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে আমরা বসব। মূলত স্থানীয় লোকজনই দেখভাল করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকা নিয়েও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা