এলাকার মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া ভিলেজ রোডের উন্নয়নে সাত কোটি টাকার একটি প্রকল্প কাজ অনুমোদন করিয়েছিলেন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের অর্থযোগান দেয়। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রকৌশল বিভাগ প্রকল্প কাজটি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে নেয়ার কথা। খবর নিয়ে জানা যায় এই প্রকল্পের কাজ করছেন জে.জে.টি ও এইচ টি এন নামের একটি জয়েনভেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি গত দুই বছর আগে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও কম শ্রমিক দিয়ে ধীরগতিতে কাজ পরিচালনা করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে সড়কটির বেশির ভাগ অংশের কাজ শেষ করলেও কাজের সিডিউল অনুসরণ করে সড়ক দু’পাশ ভরাট কাজ অনেকাংশে ঠিকমত করেনি। পথে পথে থাকা চারটি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেনি। স্থানীয়দের দাবি নির্মাণাধীণ ব্রিজ কালভার্ট এলাকায় চলাচলের জন্য যে বিকল্প রাস্তা করে দেয়ার কথা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সেভাবে রাস্তা না করে যেততেন ভাবে নিচু একটি সরু রাস্তা করে দিয়ে দায় সেরেছে। একটু বৃষ্টি হলে মানুষ এখানে চরম দুর্ভোগে পড়বে। পরিদর্শনে দেখা যায় স্থানীয় আমিরহাট থেকে কারিকর বাড়ি সড়ক মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে এখনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি এখনো হাত দেয়নি। যার কারণে এলাকার মানুষ চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম সড়ক উন্নয়ন কাজের ধীরগতি ও জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করতে সাংসদ নিজেও বার বার তাগাদা দিয়ে আসচ্ছেন। তার অভিমত যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে। টানা বর্ষা শুরু হলে কাজের গতি আরো কমে যাবে। এই অবস্থার মধ্যে এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়বে। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, এই সড়কের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। সামান্য কাজ বাকি থাকলেও এটি দ্রুত শেষ করার তাগাদা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান ব্রিজ কালভার্টগুলো আগের সিডিউলে ছিল না। সাংসদের অনুরোধে নতুন করে এগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।