বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ম্যাডামের জন্মদিনে একটা সুসংবাদ দিতে চাই আমি। আল্লাহ যদি রহম করেন, ম্যাডামকে অতি শিগগিরই আমরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা উনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে নিয়ে এক মাস ৮ দিন এভাকেয়ার হাসপাতালে আছেন ম্যাডাম। গত দুইদিন যাবত উনার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল বলা যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাকে থাকতে হয়। এখন সিসিইউর সুবিধা সমেত কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। বিদেশে মাল্টিপল সেন্টারে উনাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার এটায় কর্ণপাত করেনি। এখন সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, ম্যাডাম মুক্তি পেয়েছেন। আমরা এখন তাকে বিদেশে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
গতকাল শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপির মিলাদ মাহফিলে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা এবং চলমান আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক। খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট। বিএনপি নেতাকর্মীরা এক সময় ১৫ আগস্ট ঘটা করে কেক কেটে তাদের নেত্রীর জন্মদিন পালন করতেন। ২০১৬ সাল থেকে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিন জাতীয় শোক দিবসের দিন ঘোষণা করার পর থেকে দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে পরদিন মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করে আসছে বিএনপি।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়া চতুর্থ। বাবা এস্কান্দর মজুমদার, মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। পৈত্রিক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব–কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বামী সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখেন গৃহবধূ খালেদা। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে দুই দফা বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন খালেদা জিয়া।