নগরীর কোর্ট হিলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামের বিশ্রামাগার নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলছে। চলতি মাসেই প্রধান বিচারপতি এটির উদ্বোধন করবেন। এ জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির এনামুল হক আখন্দ। গত জুনের শুরুতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে কোর্ট হিলের দুটি ভবনের মাঝখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের জায়গায় ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণে আপত্তি তুলেন আইনজীবীরা। চলাচলের জায়গা ব্যতীত অন্য কোথাও ন্যায়কুঞ্জ নামের বিশ্রামাগার নির্মাণে আপত্তি নেই উল্লেখ করে গত ১৯ জুন প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠিও দেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। জেলা আইনজীবী সমিতি জানায়, চলাচলের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলেই তখন চিঠি দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। কিন্তু কোনো নির্দেশনা আসেনি। আপত্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ সমিতির সাথে কথা বলেনি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে আমাদের করণীয় আমরা করেছি। আপত্তি জানিয়েছি। এখন তো আমাদের কিছু করার নেই। স্থাপনা নির্মাণ হয়ে গেছে। আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। জেলা নাজির এনামুল হক আখন্দ বলেন, ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থেই করা হয়েছে। উপকারভোগ করবেন তারাই। প্রতিদিন আদালত পাড়ায় হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী আসেন। কোথাও কোনো বসার জায়গা নেই। বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা নেই। প্রধান বিচারপতি তা উপলদ্ধি করেছেন। তাই সারাদেশে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ন্যায়কুঞ্জে বিচারপ্রার্থীরা বসতে পারবেন। সুপেয় পানি পান করতে পারবেন। নারী–পুরুষের জন্য আলাদা
আলাদা শৌচাগার থাকবে। আদালতসূত্র জানায়, বিচারপ্রার্থীদের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রামসহ দেশের ৬৪ জেলার আদালতপাড়ায় ন্যায়কুঞ্জ নামে স্থাপনার (বিশ্রামাগার) জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ‘ক’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন এক হাজার বর্গফুট। আর ‘খ’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন ৮০০ বর্গফুট।