রাউজান থেকে ১ মাস ১২ দিন আগে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী নিঝুম শীল (১৬) ও তার বোন ঋর্তিকা শীলকে (৮) র্যাবের একটি দল উদ্ধার করে শনিবার রাতে রাউজান থানায় হস্তান্তর করেছে। একই সাথে এই ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক উত্তম শীল, পলাশ শীল নামের দুই যুবক ও লাকী শীল নামের অপর এক নারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠু শীল জানান, আদালত অপহৃত দুই বোনকে চাচার জিম্মায় দিয়েছেন। আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
জানা যায়, এর আগে র্যাব-৭ রাউজান থেকে দুই বোন অপহরণের অভিযোগ পায়। পরে মোবাইল ট্রেকিং করে অপহৃত দুই বোনের অবস্থান শনাক্ত করে। তাদের একটি দল ৬ নভেম্বর সকালে লোহাগাড়া উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেই বাড়ি থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে। এদিকে দুই ভাইঝিকে উদ্ধারের পর তাদেরকে অপহরণের অভিযোগে চাচা ঝুন্টু শীল ওই রাতে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আছেন চন্দনাইশ উপজেলার চরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুলাল ডেঙ্গা গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুভাষ শীলের স্ত্রী লাকী শীল (৪২), তার প্রবাসী ছেলে রকি শীল (২৪), লোহাগাড়া উপজেলার পুটিভিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন দাসের ছেলে উত্তম দাস (৩১), একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্মল শীলের ছেলে পলাশ শীলকে (৩০)। ঝুন্টু শীলের অভিযোগ, প্রবাসী সুভাষ শীলের ছেলে প্রবাসী রকি শীল (২৪) তার মায়ের পরামর্শে প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নিঝুম শীলকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে। তিনি অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দুই ভাইঝিকে রাউজান থেকে অপহরণ করে লোহাগাড়ায় নিয়ে উত্তম দাসের ঘরে আটকে রাখে।
তবে অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে প্রবাসে অবস্থানকারী রকি শীল ২০২০ সালে নিঝুম শীলকে একটি মন্দিরে বিয়ে করে প্রবাসে গিয়েছিলেন। এই বিয়ে নিঝুম শীলের প্রবাসী পিতা মেনে না নেয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তবে নিঝুম ও রকির মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রবিবার ভিকটিমসহ অপহরণ মামলার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।