বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.) স্মরণে ৪ দিনব্যাপী ওরছে আকবর (সৌরবার্ষিকী বেছাল শরীফ) গত বুধবার চট্টগ্রাম দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। বোয়ালখালীর কধুরখীলে অনুষ্ঠিত ওরছের কর্মসূচিতে ছিল– খতমে কোরআন, গিলাফ পরিধান, যিকির–কিয়াম, নিয়াজ কোরবানি, ছেমা মাহফিল ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওলামায়েকেরামগণের ওয়াজ নসিহত। গত ৫ জুন সকালে খতমে কোরআনের মধ্য দিয়ে ওরছে আকবরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দরবারের সাজ্জাদানশীন ও রাহে ভাণ্ডার তরিকার পীর আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ’র সার্বিক তত্বাবধান ও সভাপতিত্বে রোববার রাতে তকরির পেশ করেন বোয়ালখালী গোমদন্ডী দরবারের নায়েবে সাজ্জাদানশীন মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী (মা.)। ওরছের দ্বিতীয় দিন সোমবার প্রধান অতিথির তকরির পেশ করেন জামিরজুরী রজবীয়া আজিজিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ হোসেন আল কাদেরী (মা.)। ওরছের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার তকরির পেশ করেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআ’ত বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতি ইব্রাহিম আল কাদেরী। ওরছের সমাপনী দিবসে বুধবার তকরির পেশ করেন ভারতের আজমির শরীফ থেকে আগত শাহসুফি সৈয়দ মুহাম্মদ বশির উদ্দিন চিশতী (মাজিআ), গবেষক ও লেখক ড. মাসুম চৌধুরী। ওরছে ছামা পরিবেশন করেন আহমদ নুর আমিরী, আবু কাওয়া ও মসছুর কাওয়াল।
এতে বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। ক্ষমা, উদারতা, ধৈর্য–সহিষ্ণুতা, সততা, সত্যবাদিতা, দয়া, দানে, কাজে কর্মে, আচার–আচরণে, মানবতা ও মহত্ত্বে তিনি ছিলেন সর্বকালের সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।