উত্তর মেরুর প্রকৃতির রং ও শৈল্পিক আবহ চট্টগ্রামে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ জুলাই, ২০২২ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

একটি সুন্দর আলোকচিত্র, কিছু সুন্দর চিন্তার সংমিশ্রণ মাত্র। কথায় আছে কোনো কিছু লিখে বা বলে যতো সহজে প্রকাশ করা যায়, ছবি দিয়ে মনের গভীর অভিব্যক্তি আরো ভালো করে বোঝানো যায়। মানুষের মনে কথার থেকে ছবি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষের কাছেও সবচেয়ে সহজভাবে অনূদিত হয় ছবির ভাষ্য। প্রবাসী আলোকচিত্র শিল্পী অনুরূপ কান্তি দাশের তোলা প্রদর্শিত ছবিগুলো উল্লেখিত কথাগুলোর সত্যতাকে নিপুণভাবে তুলে ধরে নান্দনিকতায় স্বমহিমায়। সবার হাতে ক্যামেরা সমান করে কথা বলে না। যারা ভালোবাসতে জানেন, তাদের হাতে ক্যামেরা যা বলবে, যাদের মন কাঁদে না তাদের হাতে সেটি সমান কথা বলবে না। অনুরূপ কান্তি দাশের সার্থকতা এখানেই। তিনি চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা করার সময় নিত্যদিন তুলে ধরতেন চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের কথা। প্রবাসে গিয়ে সেখানকার মানুষ ও প্রকৃতি হয়ে উঠেছে তার ক্যামেরার বিষয়বস্তু। শান্তির দেশ ফিনল্যান্ডের প্রকৃতি যেন তার হাত ধরে চট্টগ্রামের শিল্পপ্রিয় মানুষের কাছে ধরা দিয়েছে স্নিগ্ধতায়, শীতলতায়।

শিল্পী অনুরূপ দাশের ‘উত্তরের শুভ্রতা’ শীর্ষক তিন দিনের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জয়নুল আবেদিন আর্ট গ্যালারিতে। উল্লেখিত কথাগুলো নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন দর্শকগণ। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম, অনুরূপ কান্তি দাশ এবং প্রদর্শনীর সহযোগিতাকারী ফিনল্যান্ডের একমাত্র বাংলা নিউজপোর্টাল ‘সংবাদ২১ডটকম’ এর পক্ষে নুর নবী।

প্রদর্শনীতে কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রশিল্পী মউদুদুল আলম, সরোজ বড়ুয়া, শিল্পী অনুরূপের বাবা অজিত দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।

উদ্বোধনী দিনে খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেলসহ চট্টগ্রামের শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে শিল্পী অনুরূপ আজাদীকে বলেন, ষড়ঋতুর দেশ ছেড়েছি জীবিকার তাগিদে। নতুন দেশের প্রকৃতির রূপ-রস আমাকে আলোড়িত করেছে সমভাবে। অনুপ্রাণিত করেছে নতুন করে ল্যান্সে চোখ রাখতে। ফিনল্যান্ডের তীব্র শীত আর শুভ্র প্রকৃতি নিয়ে তোলা ছবির একটি প্রদর্শনী প্রিয় শহর চট্টগ্রামে করার ইচ্ছে থেকেই এ প্রদর্শনীর আয়েজিন করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই রিকশাচালককে পুরস্কার দিলেন তানভীর শাহরিয়ার
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে