উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী ও তার স্বামী এমরানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমরান আওয়ামী লীগের আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য শাখার সভাপতি। গত সোমবার রাতে নগরীর বায়েজিদের আতুরার ডিপো এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার এ দম্পতিকে আদালতে পাঠানো হলে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বায়েজিদ থানায় গত ২০ জানুয়ারি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি জিনাত সুহানা ও তার স্বামী এমরান।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, জিনাত সুহানা ও তার স্বামী এমরানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বায়েজিদ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জিনাত সোহানার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে শুনানি হয়নি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জিনাত সোহানা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক। বিগত সরকারের সময় তিনি সিডিএর সদস্য ও বিজিএমইএর সদস্য ছিলেন। ফারমিন গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জিনাত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শকও ছিলেন। সোহানার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা কোতোয়ালী থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিনাত সোহানা। ওই মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ ও ইসকনের ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান আজাদীকে বলেন, ১৯ জানুয়ারি বায়েজিদের কুয়াইশ এলাকায় সরকার বিরোধী স্লোগানসহ মিছিল হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে জিনাত সোহানা ও এমরানের জড়িত থাকার তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।