এইচএসসি পরীক্ষার বহুল প্রত্যাশার ফল ঘোষণা হলেও কোনো উচ্ছ্বাস নেই। নেই হতাশাও। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে গতকাল ফল ঘোষণা করা হয়। অটোপাসের ফলে প্রতিটি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। তবে গতকাল বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কোনো উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। অবশ্য হতাশাও দেখা যায়নি কোথাও। গতকাল দুপুরে ঘোষিত ফল অনুযায়ী এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন শিক্ষার্থী সবাই পাস করেছে। পাসের হার শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ১৪৩ জন, যা চট্টগ্রাম বোর্ডে রেকর্ড।
করোনার কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। ফল প্রদানের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে সময় লাগছিল। গত বেশ কিছুদিন যাবত ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করছিল। গতকাল বহুল প্রত্যাশার ফল ঘোষণা করা হয়। তবে কলেজগুলোতে কোনো ধরনের জটলা ছিল না। কোথাও উচ্ছ্বাস ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেই উচ্ছ্বাসের ছিঁটেফোটা। অবশ্য বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী অটোপাস করায় ভালো শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। এদের অনেকেই তাদের হতাশার কথা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীতে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল তৈরি হয়। শতভাগ পাস করা ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশ মেধাবী। এই মেধাবীদের মাঝে অতি মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট তৈরি করতে পারে।