উচ্চারকের ২১ বছর

একুশের সঙ্গে বাঙালি জাতির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য : এম এ মালেক

| শনিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দেশের অন্যতম প্রধান আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার থেকে দুদিনের শ্রুতি আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, একুশের সঙ্গে বাঙালি জাতির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে একুশের ভাষাশহীদদের রক্ত লেগে আছে। তাই বাংলা ভাষাকে শুদ্ধরূপে সর্বত্র চর্চা করতে হবে। উচ্চারক তাদের কর্মে সেই একুশ সংখ্যাকে পার করে আজ সামনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই উৎসেবর উদ্বোধক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী ও বরেণ্য অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। উদ্বোধকের বক্তব্যে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, উচ্চারক এক এক করে নিয়ত কাজের মধ্য দিয়ে আজ একুশ পেরিয়ে এসেছে। তাদের গঠনমূল চর্চা ও কর্ম আজ বেশ প্রশংসিত। তাদের বিষয়ভিত্তিক প্রযোজনার মধ্যদিয়ে এদেশের গোড়ার কথা উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনজুর কাদের মনজুর। উচ্চারক সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আহ্বায়ক নাট্যজন স্বপন মজুমদার। ভাষাশহীদদের উৎসর্গকৃত এই উৎসব শুরু হয় একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ কবিতার মধ্য দিয়ে। সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চের আলোচনা পর্বে ছিলেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কবি মালেক মুস্তাকিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহ্‌মেদ, উৎসবের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল চৌধুরী।

উদ্বোধন শেষে শিল্পকলার মূল মিলনায়তনে দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শিত হয় উচ্চারকের চারটি পূর্ণাঙ্গ শ্রুতি প্রযোজনামন ও মানচিত্রের বিভাজন, চর্যায় অর্চনা, নুরুন্নেহা ও কবরের কথা এবং সীমান্ত। উৎসবে আমন্ত্রিত আবৃত্তি ও শ্রুতিশিল্পীদের মধ্যে আবৃত্তি করেন আকাশবাণী কলকাতার অনুষ্ঠান সঞ্চালক অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়, আবৃত্তিশিল্পী রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়, আগরতলা, ত্রিপুরার স্মিতা ভট্টাচার্য্য, পিন্টুলাল সাহা, পশ্চিমবঙ্গের কবি ও লেখক সুদীপ ভট্টাচার্য, স্বনন, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব মাসকুরসাত্তার কল্লোল, মজুমদার বিপ্লব ও সুকান্ত গুপ্ত, ময়মনসিংহের আসাদুজ্জামান রুবেল, কুমিল্লার সারওয়ার নাঈম, দীপ্তরাজ দত্ত, খাগড়াছড়ির চিংলামং চৌধুরী প্রতিভা ত্রিপুরা।

দুদিনের এই উৎসবে চট্টগ্রামে অবস্থানরত শিল্পীদের মধ্যে আবৃত্তি করেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, কবি মিলি চৌধুরী, মছরুর হোসেন, বনকুসুম বড়ুয়া, জেবুন নাহার শারমিন, উমেসিং মারমা, ইকবাল হোসেন জুয়েল, মাহফুজা হক স্নিগ্ধা, অনির্বাণ চৌধুরী, তাসলিম হাসান, বর্ষা চৌধুরী, ঐশী পাল, আবদুল্লাহ ফারুক রবি। উৎসবে আমন্ত্রিত কবি ও ছাড়াশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ভাগ্যধন বড়ুয়া, কাসেম আলী রানা, অনুপমা অপরাজিতা, কাজী সালাহউদ্দিন, মনিরুল মনির ও সুজিত সাহা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় সরিষার আবাদ দ্বিগুণ
পরবর্তী নিবন্ধছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বোনের মৃত্যু