শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.)র ২দিন ব্যাপী ১৬২তম খোশরোজ শরীফ আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে। এতে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইফুদ্দীন আহমদ আল্–হাসানী মাইজভাণ্ডারী। গতকাল সোমবার খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসে আয়োজিত মাহফিল সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্–হাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার আল্লাহর করুণা ও রহমতের আধ্যাত্মিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে এসে কেউ খালি হাতে ফিরে না। গাউছুল আযম হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী মানুষের কল্যাণে আজীবন নিবেদিত ছিলেন। বৈষম্য, বিভেদ, অনৈক্য–বিভাজন ও মানুষে মানুষে হানাহানি–সংঘাতের বিপরীতে আউলিয়া কেরামগণ মানুষকে শান্তি সাম্য ও কল্যাণের কথাই বলেছেন। তিনি বলেন,উগ্র সমপ্রদায়িক গোষ্ঠীর মোকাবেলায় ঐক্যের বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে সুফিবাদ ছিল মুসলমানদের রাজনৈতিক শক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ মুসলমানদের মাঝে অনৈক্য, বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব–সংঘাত, ক্ষমতার লোভ জেঁকে বসেছে। রাষ্ট্রে দুর্নীতি, অন্যায়–অবিচার, বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে এবং জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয়ের আঘাতে জাতির মূল চালিকাশক্তি যুব সমাজ বিপর্যস্ত, পথহারা। তাদের উচ্চশিক্ষা অর্জনও বিফলে পর্যবসিত হচ্ছে। তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে তাসাউফ চর্চার বিকল্প নেই। কারণ তাসাউফের অনুসরণ মানুষের বিবেকবোধ তথা মূল্যবোধকে জাগ্রত করে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মেহবুব–এ–মইনুদ্দীন, কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ মাশুক–এ–মইনুদ্দীন, সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাড. কাজী মহসিন চৌধুরী, আনজুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী।
হাফেজ মুফতি মাকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আলোচক ছিলেন আনজুমান কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি কবীর চৌধুরী, অধ্যক্ষ গোলাম মো. খান সিরাজী, রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, মুফতি খাজা বাকী বিল্লাহ আল্–আযহারী, মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, হাফেজ নাজের হোসাইন, বাকের আনসারী, ইসমাইল হোসেন সিরাজী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।