ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ, আজ খুলছে অফিস

ফাঁকা নগরী ফের মুখর হচ্ছে

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

ঈদুল আজহার একটানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার থেকে খুলছে সরকারিবেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান। গত ৭ জুলাই দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে গত ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছিল সরকারি ছুটি, যা গতকাল ১৪ জুন পর্যন্ত ছিল।

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি কাটিয়ে আজ ১৫ জুন সকাল থেকে আবার সরব হয়ে উঠবে সরকারি অফিসআদালত, ব্যাংকবীমাসহ স্কুলকলেজ। ১০ দিনের বন্ধে ফাঁকা ছিল নগরী। নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে অনেকে আগেভাগে রওনা দিয়েছেন। যাত্রীরা ট্রেন, বাস থেকে নেমে ব্যাগ ও লাগেজ হাতে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। কেউ সরাসরি কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে, কেউবা বাসায় ফিরছেন। ফলে সপ্তাহের বেশি সময় ফাঁকা থাকা নগরী ফের কোলাহলমুখর হতে শুরু করেছে।

ঈদ করে শহরে ফেরত আসা যাত্রীদের এবারের ঈদযাত্রা ছিল তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। একই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনেও। গতকাল সকাল থেকেই ট্রেনে চেপে যাত্রীরা চট্টগ্রামে ফিরেছেন। গত শুক্রবার থেকেই নগরীতে ফিরতে শুরু করে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া কর্মজীবী মানুষজন। কেউ আসছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, আবার কেউ একাই ফিরছেন চাকরির তাগিদে। এদিকে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে আজ থেকে ধাপে ধাপে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হবে। এরপর ২২ জুন খুলবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২৬ জুন থেকে খোলা হবে মাদ্রাসাগুলো।

তবে চলতি মাসে ডেঙ্গু ও করোনার সংক্রমণ বাড়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর মধ্যে রয়েছে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, বাইরে ও জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, চোখ, নাক ও মুখে হাত না দেওয়া, হাঁচিকাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রেখেছে এবং প্রয়োজনে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রেন ঈদ ফেরত যাত্রীতে ভরপুর ছিল। যাত্রীদের চাপ থাকলেও রেলযাত্রায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি। কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হয়। তারা বলেন, এবার দীর্ঘ বন্ধে গ্রামে দারুণ পরিবেশে ঈদ করেছেন পরিবারের সাথে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে জীবিকার তাগিদে আবার কোলাহলমুখর জীবনে ফিরে আসতে হচ্ছে।

গতকাল সকালে এবং বিকালে বটতলী নতুন রেল স্টেশনে চট্টগ্রামমুখী প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের ছুটি শেষ হয়েছে। তাই অনেকে শুক্রবার চলে এসেছেন, গতকাল থেকে অফিস করেছেন।

এদিকে গতকাল বিকালে কদমতলী বাস স্টেশন ছিল লোকে লোকারণ্য। বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদ শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। গতকাল বিকালে একই অবস্থা দেখা গেছে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায়। প্রতিটি বাস থেকে নামছিলেন শত শত মানুষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোন দিকে যাচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত?
পরবর্তী নিবন্ধআজ থেকে ধাপে ধাপে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান