ঈদের লম্বা ছুটিতে নগরীর বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। আজ শুক্রবার নগরীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় আরো বাড়বে।
নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক সি–ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, গতকালও সেখানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ঈদের ছুটিতে পরিবার–পরিজন নিয়ে ছুটে গেছেন অনেকেই।
ঈদের দিন ভিড় কিছুটা কম হলেও ঈদের পরদিন রোববার সকাল থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চিড়িয়াখানা, পারকি সৈকত ও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
এছাড়া সবুজ পাহাড়ের মাঝে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা হ্রদ নিয়ে গড়ে ওঠা ফয়’স লেকেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। এখানকার ওয়াটার পার্ক ‘সি–ওয়ার্ল্ড’–এর কৃত্রিম ঢেউয়ে সামুদ্রিক আমেজ নিতেই আসছেন অধিকাংশ দর্শনার্থী। বিভিন্ন রাইডেও ছিল তরুণ–তরুণীদের উচ্ছ্বাস। বেইসক্যাম্পেও দেখা গেছে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের ভিড়।
ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে সি–ওয়ার্ল্ড এসেছেন আবুল কালাম দম্পতি। একদিন এক রাত থাকার পর পরদিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যান কঙবাজার। ফয়’স লেকস্থ সি–ওয়াল্ড’এ কথা হলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর কাছাকাছি অনেক বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এসব বিনোদন কেন্দ্র সবাইকে মুগ্ধ করে।
ঈদের পরদিন থেকে গত ৫দিন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসুদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। গত কয়েকদিনে তিল ধারণের ঠাই ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং ১৫ নম্বর নেভাল এলাকায়।
গত বুধবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় কথা হয় পটিয়া থেকে আসা ব্যাংকার মফিজের সাথে। তিনি জানান, এমন একটি সুন্দর নান্দনিক এলাকাকে অবৈধ ভাসমান দোকানগুলো গ্রাস করে ফেলেছে। অপরিকল্পিত দোকানগুলোর কারণে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। প্রচুর দর্শনার্থী, কিন্তু সেই হিসেবে ভালো মানের খাবারের কোনো দোকান নেই বলেও অভিযোগ করেন ব্যাংকার মফিজ। এদিকে ঈদের বন্ধে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।
অন্যদিকে সিআরবির সবুজ প্রকৃতিজুড়ে বিকেলের পর থেকে নানান বয়সী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তীব্র গরমের মধ্যে সিআরবির শতবর্ষী বৃক্ষের নিচে এবং সবুজ ঘাসের বুকে দল বেধে বন্ধু–বান্ধবদের রাতব্যাপী জমেছে আড্ডা।