প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের ছুটিতে চালু থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম। দেশের আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য বন্দর ও কাস্টমসের কর্তৃপক্ষ আলাদা নির্দেশনা জারি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে। ঈদের দিন কেবল এক শিফটের জন্য বন্দরের ভেতরে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের দিন বিকাল থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে (ঈদের দিন ছাড়া) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ দেশের সব শুল্ক স্টেশনের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সীমিতভাবে খোলা রাখার নির্দেশনা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসে বেশিরভাগ কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুল্কায়নের নানা জটিলতায় বিশেষ করে আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের সংশ্লিষ্ট উপকমিশনার, যুগ্ম কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনারের কাছে যেতে হয়। কিন্তু আজ (গতকাল) গিয়ে তাদের অধিকাংশকে পাইনি। এ রকম যদি হবে তাহলে কাস্টমস খোলা রাখার ঘোষণা দেয়ার তো দরকার ছিল না।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, হাউসে কয়েকজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন। তবে কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। গত ২৭ এপ্রিল এনবিআর থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনতে ও বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন ছাড়া শুক্রবার ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাস্টম হাউসগুলো সীমিত আকারে খোলা থাকবে। এজন্য প্রতিটি কাস্টম হাউসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাসস জানায়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে সকল আমদানি– রপ্তানিকারক, শিপিং এজেন্ট, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট, প্রাইভেট অফডকসমূহসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের ঈদের ছুটিকালীন তাদের পণ্য ডেলিভারি নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।