মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি কিংবা টাকা পাঠানোর কৌশলসহ নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা চললেও সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের মুক্তি যে ঈদের আগে হচ্ছে না তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে নাবিকেরা সুস্থ ও ভালো আছেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, নাবিকেরা সুস্থ আছেন। তাদের খাবার দাবারে খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না। পানির কিছু সংকট থাকলেও রেশনিং করে ম্যানেজ করা হচ্ছে। বাহ্যিক কাজে সমুদ্রের নোনা পানিও ব্যবহার করতে হচ্ছে।
কেএসআরএম– এর দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হওয়া আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ আলোচনা এখনো অনেকদূর এগিয়ে গেছে। জাহাজ মালিকের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। এখনো সমঝোতা হয়নি। তবে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বীমা কোম্পানি মুক্তিপণ পরিশোধ করবে। তবে কিভাবে এবং কোন পন্থায় টাকা পাঠানো হবে তা নিয়ে হিসেব নিকেশ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিপণের টাকা দেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকেই সোমালিয়ায় পাঠানো হবে। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে অবস্থান করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজ কমান্ডো অভিযানে নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও জাহাজ মালিক এবং বাংলাদেশ সরকারের আপত্তির মুখে কমান্ডো অভিযানের পরিকল্পনা বাদ দেয়া হয়েছে। তবে জাহাজটি আন্তর্জাতিক বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে।