করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত কোরবানির ঈদের মত আসছে রোজার ঈদেও জামাত হবে কেবল মসজিদে, আর তাতে অংশ নিতে হবে বিধিনিষেধ মেনে। সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যেতে হবে মাস্ক পরে। কাতারে দাঁড়াতে হবে দূরত্ব রেখে। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না। ঈদগাহ বা খোলা মাঠে ঈদের জামাত হবে না।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার মারাত্মক আকার ধারণ করায় সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। রোজার মাসে তারাবি নামাজের ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা জারি রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়ায় ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ জামাত আদায় করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হল। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে। আর ঈদের জামাত আয়োজনে মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :
১. ঈদের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
২. নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. সবাই যার যার দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন।
৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
৫. মসজিদে ওজুর জায়গাতেও সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৬. প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসবেন। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৭. ঈদের নামাজে অংশ নিতে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮. ঈদের নামাজ কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
৯. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।
১০. মসজিদে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো পরিহার করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করা হয়েছে সেখানে।