চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক বাংলাদেশ ইমার্জিং দল অনেক এগিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানরত ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩১৩ রানে। দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ড দল ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৫ রান। ফলে এখনও ১২৭ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা। আয়ারল্যান্ড তাই পড়ে গেছে ভীষণ চাপে। ইনিংস হারের চোখ রাঙানি তাদের সামনে। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ৬ উইকেট তুলে নিলেই জিতে যাবে ইনিংস ব্যবধানে। গতকাল বাংলাদেশ ইনিংসে আক্ষেপ ছিল চট্টগ্রামের ছেলে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে স্টাম্পের বলে লাইন মিস করে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। চমৎকার ইনিংস খেলেও মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ইয়াসির আলির। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের থিতু হয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার চিত্র ছিল দিন জুড়ে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর ইয়াসির করেন ১১৫ বলে ৯২ রান। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কা। ১ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে শনিবার দিন শুরু করা বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন সাইফ ও মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু তাদের সম্ভাবনাময় দুটি ইনিংসই থেমে যায় পঞ্চাশের আগে। পরপর দুই ওভারে ফিরে যান সাইফ ও মাহমুদুল। ৪৯ রানে স্বাগতিক অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন গ্রাহাম হুমে। কট বিহাইন্ড হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না সাইফ। আর স্টাম্পের বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন ৪২ রান করা মাহমুদুল। জোড়া ধাক্কার আঘাত তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে সামাল দেন ইয়াসির। দুজনে গড়েন ১১২ রানের জুটি। তৌহিদকে ৩৬ রানে এলবিডব্লিউ করে প্রতিরোধ ভাঙেন জোনাথান গার্থ। পিটার চেইসকে বাউন্ডারি মেরে ৬৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ইয়াসির। আস্থার সঙ্গে খেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিয়ে ফিরেন ৯২ রানে। শাহাদাত হোসেন ২০ ও আকবর আলি ১৯ পারেননি দলকে টানতে। দুই জনই ফিরেন থিতু হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীদের শুরুতেই চেপে ধরেন ইবাদত হোসেন, তানভির ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জেমস ম্যাককলামকে কট বিহাইন্ড করেন ইবাদত। পরের তিন ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার তানভির।