টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদশা মিয়াকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা অফিসের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোয়াইক্যং নয়াবাজার স্টেশন সংলগ্ন ব্যক্তিগত অফিস থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক ঘণ্টা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে রেখেছে তার লোকজন। এ সময় টহলরত র্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, আটক বাদশা মিয়া ও তার তিন ভাই তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটকের ঘটনায় সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটকের ঘটনায় তার লোকজন কাঠ জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় ইউপি সদস্যের অনুসারীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। এ সময় টহলরত র্যাবের একটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যরাও আহত হন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন জানান, সন্ধ্যায় মেম্বারের নিজস্ব অফিস থেকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার টেকনাফ মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাছাড়া আটক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করার পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই যায়েদ হাসান বলেন, সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম সেখানে পৌঁছায়। পুলিশ লোকজনকে বুঝিয়ে সড়কে ব্যারিকেড তুলে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা ব্যরিকেড না তুলে উল্টো পুলিশের উপর হামলা করে। এতে আমিসহ চারজন পুলিশ সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হই।
