ইয়াবার চালান পাঠিয়ে দেন স্থলপথে। টাকা নিতে নিজেরা ঢাকায় আসেন বিমানে চেপে। একাধিকবার এ ঘটনা ঘটেছে। তবে শেষবার আর পার পাওয়ার সুযোগ পেলেন না টেকনাফের তিন মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম, ইয়াকুব এবং শামসুর; ধরা পড়তে হলো তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অভিযানে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ মাদক বেচাকেনায় জড়িত একটি চক্রের মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে একজন নারী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তানভির মাহমুদ (৪৭), রবিন (৩২), মো. ইব্রাহিম (২৮), ইয়াকুব (২৯), মো. শামসুর আলম (৩০) এবং জবা আক্তার (২৭)। তাদের থেকে মোট ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান আজাদীকে জানান, প্রথমে তানভির মাহমুদ এবং রবিনকে ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্রের নাম বলে এবং তারা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব শেওড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর এবং জবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের থেকে ইয়াবার ‘বড় একটি চালান’ জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, মাদকের এই চালানটি বুধবার রাতেই টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসে। তিনি বলেন, ওই এলাকার মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তারা আছেন। ইয়াবার একটি বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা ‘পেমেন্ট’ নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে তারা কোনো মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করতেন না। নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ব্যবহার করে মাদকের লেনদেন করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার জবা আক্তারের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, পূর্ব শেওড়াপাড়ায় জবার নামে তিনটি বাসা ভাড়া নেওয়া আছে, যেখানে মাদকের চালান আসে এবং এ সব বাসা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বাসাগুলো অত্যন্ত দামি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো। দেখলে মনেই হবে না এরা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের ব্যাপারে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।