দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শনিবার সকালে ও বিকালে দুই ভাগে ২২টি করে দলের সঙ্গে এ সভা হবে। ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৪৪টি দলকে ইতোমধ্যে তারা চিঠি পাঠিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের ঠিকানায় আওয়ামী লীগের, নয়া পল্টনের ঠিকানায় বিএনপির চিঠি পাঠানো হয়েছে। অন্য দলগুলোর চিঠিও তাদের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে। এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানা যাবে। খবর বিডিনিউজের।
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দু’দফা সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি। সে কারণে বিএনপি ও সমমনা দল এবং সিপিবি, বাসদসহ সংলাপ বর্জন করা ৯ দলকে গত মার্চে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাতেও সাড়া দেয়নি দলগুলো।
এখন চলছে ভোটের প্রস্তুতি। কিন্তু ভোট পদ্ধতি নিয়ে বিরোধের মধ্যে হরতাল–অবরোধের মত কর্মসূচিতে রয়েছে বিএনপি। রাজনীতির উত্তাপ ইতোমধ্যে গড়িয়েছে সহিংসতায়। বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির অফিসও তালাবন্ধ শনিবারের পর থেকে।
এ পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ সমমনারা ইসির ডাকে সাড়া দেবে কিনা জানতে চাইলে কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
দলগুলোকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির কারণে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচনের মূল অংশীজন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্ব প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে এ সভায় আপনার দলের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা আপনাদের কর্তৃক মনোনীত ২ জন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছেন।