ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি এস আলম গ্রুপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপ ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছে। তবে পুরো তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। গ্রুপটি সম্পদ অতিমূল্যায়ন করে ঋণ বের করে নিছে। ইতিমধ্যে তার সম্পদ নতুন করে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ঋণের বিপরীতে যেসব জামানত রয়েছে তা দিয়ে কাভার হবে না। তাই জামানতের বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বের করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের নতুন বোর্ডের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
এক সময় ঋণ ও আমানতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের স্বীকৃতি পেলেও অনিয়ম ও কেলেঙ্কারিতে নাজুক দশায় পৌঁছেছে ইসলামী ব্যাংক। জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ব্যাংকটিকে এস আলম মুক্ত করার জন্য পরদিন আন্দোলনে নামেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যাতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করে আহসান এইচ মনুসর ইসলামী ব্যাংকসহ ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছেন।
মাসুদ বলেন, নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৩০০ কোটি টাকা শর্টে ছিল, তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশা করি এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, অনেক গ্রাহকের এতোদিন টাকা তুলতে যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের পর আর হবে না। কারণ গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণ জমা হয়েছে তার চেয়ে বের হয়েছে কম। নিট ব্যালেন্স থাকছে।