ইসরায়েলের কারাগারে শহিদুল আলমসহ আটক অধিকারকর্মীরা

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ গাজামুখী নৌবহরের অধিকারকর্মীদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে আটক রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বার্তায় ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ‘দৃক’। দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ ও গাজার অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। গাজামুখী এ নৌবহরে ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামের উদ্যোগের আটটি নৌযানও যুক্ত ছিল। মোট নয়টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। গত বুধবার ইসরায়েলি সেনারা নৌবহরটিতে হামলা চালিয়ে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে নিয়ে যায়।

দৃক জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহদ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলএর মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও নাবিককে আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাহাজ দখলের পর থেকে আটক ব্যক্তিরা ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালাহর আইনজীবীরা। নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগার ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়।

থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা গতকাল বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, ইসরায়েল বেআইনিভাবে ফ্লোটিলা থেকে ১৪৫ জনকে অপহরণ করেছে। তাদের অনেককে কেৎজিয়েত কারাগারে অমানবিক পরিবেশে রাখা হয়েছে, যেখানে তাদের মারধর, অপদস্থ ও জুলুম করা হচ্ছে। আদালাহর আইনজীবীরাও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে বলা হয়, আজই আটক ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ণ আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে ইতোমধ্যে ইসরায়েল থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় সংগঠনটি।

এর আগে গত সপ্তাহে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪২টি নৌযান থেকে ৪৭৯ জনকে আটক করেছিল ইসরায়েল। তাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে তাদের অধিকাংশকে ফেরত পাঠানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ১৬ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা
পরবর্তী নিবন্ধআরো তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা