ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) আইনি মতামত চাইল বৈশ্বিক সংস্থাটির সাধারণ পরিষদ। মতামত চাইতে আনা প্রস্তাবের পক্ষে শুক্রবারের ভোটে ৮৭টি দেশ সমর্থন দিয়েছে, বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ২৬টি দেশ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর জাতিসংঘে ভোট হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। নেতানিয়াহুর এবারের মন্ত্রিসভাকে ইসরায়েলের স্মরণকালের সবচেয় কট্টরপন্থি মন্ত্রিসভা বিবেচনা করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে আইসিজে রায় দিতে পারলেও তা কার্যকরের এখতিয়ার তাদের নেই। ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে, তারা গাজা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেও জাতিসংঘ এখনও ওই ভূখণ্ডকে দখলকৃত বলেই বিবেচনা করে আসছে। পুরো জেরুজালেমকে ইসরায়েল তাদের রাজধানী হিসেবে দেখে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানীরূপে চায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ হাতেগোণা কয়েকটি দেশ এ পর্যন্ত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পশ্চিম তীর, ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা ভূখণ্ড নিয়ে স্বাধীন, স্বতন্ত্র রাষ্ট্র চেয়ে আসা ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা শুক্রবার জাতিসংঘে হওয়া ভোটকে তাদের বিজয় হিসেবে দেখছেন।
ইসরায়েল আমাদের জনগণের সঙ্গে যে অপরাধ করে চলেছে, তার জন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার সময় এখন, বলেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উপ–প্রধানমন্ত্রী নাবিল আবু রুদেইনেহ। অন্যদিকে ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী একে অ্যাখ্যা দিয়েছেন জঘন্য হিসেবে। ইহুদিরা তাদের নিজেদের ভূখণ্ড দখল করে রাখেনি, তারা তাদের চিরন্তন রাজধানী জেরুজালেমের দখলদার নয়, জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাবই এই ঐতিহাসিক সত্য ঢাকতে পারবে না, শনিবার সন্ধ্যায় এমনটাই বলেছেন নেতানিয়াহু।