টেকনাফ উপকূল ইলিশে সয়লাব হয়েছে। গত দুয়েকদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন উপকূলে জেলেদের জালে এখন ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে শাহ পরীর দ্বীপ, সাবরাং, লম্বরী ও সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন ফিশারি ঘাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মৎস্য শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার বিকেলে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী ঘাটের জেলে তজিল আহমদ অলু”র দু’টি জালে ধরা পড়েছে প্রায় ৪শ’ ইলিশ মাছ যা এক লাখ ২০ হাজার টাকায় ঘাটেই বিক্রি করে দেন তিনি।
এভাবে আজ বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালেও টেকনাফের কায়ুখখালী ফিশারিঘাটে সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং থেকে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ মাছ আনা হয়। তবে মাছের ওজন ৪শ’ গ্রাম থেকে ৭শ’ গ্রামের মতো হওয়ায় তেমন দাম পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ওই ফিশারি ঘাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফিক বলেন, “এখানে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা গত কয়েক দিনে প্রচুর ইলিশ নিয়ে আসেন। তবে মাছগুলোর ওজন এক কেজির নিচে। ফলে এসব ইলিশ মাছের দাম কেজি ৬/৭ টাকায় কিনে নিয়ে ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেছেন। কেউ কেউ ভালো দাম পাওয়ার আশায় কোল্ড স্টোরেজ করে রেখেছেন।”
তবে এ ধরনের ইলিশ মাছ বেশ সুস্বাদু বলে জানান টেকনাফ পৌর সভার সাবেক প্রশাসক
এসএমএ ফারুক বাবুল।
তিনি বলেন, “গত বুধবার বিকেলে টেকনাফ বাজার থেকে সাড়ে পাঁচ”শ টাকা কেজি মূল্যে বেশকিছু ইলিশ কিনে নিই। রাতে রান্না করে খেয়েছি। যা বেশ সুস্বাদু ছিল।”
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “টেকনাফ উপকূলে বেশ কয়েক দিন ধরে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। তাছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যাচ্ছে।”
সমুদ্রের ডিম পাড়ার সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এ বছর মৌসুম অনুযায়ী সামুদ্রিক মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বলেও জানান তিনি।