ইলিশ মিলছে কম আকারেও ছোট

আনোয়ারার দুই হাজার জেলের মুখে হাসি নেই

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ২৮ জুলাই, ২০২১ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আনোয়ারা সমুদ্র উপকূলে দুই হাজারের বেশি মৎস্যজীবীর এখন রাত দিন ব্যস্ততা। কেউ যাচ্ছে মাছ ধরতে, কেউ বুনছে জাল আবার কেউবা বরফ আর মাছ প্রক্রিয়াজাতে ব্যস্ত। বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ে এবার তার অর্ধেকও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ধরা পড়া ইলিশ আকারেও ছোট হওয়ায় হাসি নেই আনোয়ারার দুই হাজার জেলের মুখে ।
স্থানীয় আড়তদার ও মৎস্যজীবী মাহমুদুল হক জানান, গত বছর এ সময়ে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছিল এ বছর তার অর্ধেকও ধরা পড়ছে না। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত কয়েকদিনে মাঝারি ও ছোট আকারের মাছ ধরা পড়েছে বেশি। এসব মাছের স্বাদও কম, চাহিদাও কম। এতে অনেকে লোকসানের ভয়ে আছেন। বর্তমানে মাঝারি আকারের মাছ প্রতি মণ ১৩ হাজার আর ছোট আকারের ইলিশ প্রতিমণ ৮ থেকে ৭ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আনোয়ারা উপকূলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে দুই হাজারের বেশি জেলে। গত কয়েকদিনে এসব মৎস্যজীবী বার বার সাগরে গেলেও প্রত্যাশিত মাছ ধরতে না পারায় তাদের চোখে-মুখে হতাশা। সেই সাথে চিন্তা বাড়াচ্ছে লকডাউন। এখানে ধরা পড়া ইলিশ চট্টগ্রামের সদরঘাট ও ঢাকার যাত্রাবাড়ির পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। করোনা আর লকডাউনে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীরা পুষিয়ে উঠতে পারছে না।
মধ্যম গহিরা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও স্থানীয় আড়তদার ছালে আহমদ জানান, প্রকৃতির বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। আনোয়ারার ২ হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবী এখন মাছ ধরায় ব্যস্ত। তাদের প্রত্যাশা ছিল বড় আকারের বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়বে। কিন্তু গত ৪ দিন সেই আশা পূরণ হয়নি। তবে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে বড় মাছ পাওয়ার আশা সকলের।
আনোয়ারা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.রাশিদুল হক জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। আর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে অক্টোবর মাসে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। সেই হিসেবে গত ২৪ জুলাই থেকে সাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আনোয়ারায় ৩ হাজার ৫ শত ৮৯ জন নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী সাগরে ইলিশ ধরে থাকেন। এখন মাছের আকার ছোট হলেও আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বড় ইলিশ ধরা পড়বে ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা
পরবর্তী নিবন্ধবরাদ্দ ২২ থেকে আটে