বিকেল করে আমি আর মিকা বের হলাম ইরাবতী নদী দেখার জন্য। হোস্টেল থেকে বের হয়ে পাড়ার চৌরাস্তায় আসার আগেই দেখি রাস্তার দুইধারে ছেলে- মেয়েরা বালতিতে করে পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর রাস্তা দিয়ে যে মোটর সাইকেল বা গাড়ি যাচ্ছে, তাতে পানি ছুড়ে মারছে। এটাই নববর্ষের আনন্দ। আমি আর মিকাও একদফা এই পানিতে ভিজলাম। ইরাবতীর তীরে মানুষের ভিড় জমে উঠেছে। দল বেঁধে ছেলে বুড়ো সবাই এসেছে বেড়াতে। নদীর তীরে অস্থায়ী খাবারের দোকান, রকমারী জিনিসের দোকান বসেছে। দোকানীরা চিৎকার করে কাস্টমার ডেকে চলেছে। বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের মেলার সাথে কোন পার্থক্য নেই। নদীর ধারে প্লাস্টিক কাগজে ভরে গেছে। সৌন্দর্য উপভোগের খুব একটা সুযোগ নেই, তার চেয়ে মানুষ দেখাই ভাল। অনেকেই এসেছে পরিবার নিয়ে। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, ইভ টিজিং থাকলেও গায়ে হাত দেয়ার মত অসভ্যতা চোখে পড়েনি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, খালি চোখে কি আর এইসব দেখা যায়? না হয়ত যায় না। কিন্তু, এই ভিড়ের ভেতর নিজে হেঁটে এসেছি বলে বলছি, অসভ্যতার চেষ্টা কারও ভেতর দেখিনি। বিদেশি বলেও হয়ত হতে পারে, আবার ছেলে-মেয়েদের মেলামেশায় আমাদের মতো এত চোখ রাঙ্গানি নেই বলেও হতে পারে।
আসতে আসতে পশ্চিম আকাশ লাল হতে শুরু করেছে। নদীর এক জায়গায় ডিঙ্গি নৌকা খেয়া পারাপার করছে। এপারের মানুষ ওপারে যাচ্ছে, ওপারের মানুষ এপারে আসছে। মনে হল, নৌকা নিয়ে একটু নদীতে ঘুরে এলে মন্দ হয় না। এক এক নদীর নৌকা নাকি একেকরকম হয় নদীর ঢেউয়ের সাথে মিলিয়ে। তাই কর্ণফুলিতে সাম্পান চলে আর পদ্মায় চলে পানসি। তবে উপযোগিতা ভেদেও নৌকার গঠন আলাদা হয়। সে যাই হোক, পড়ন্ত বেলায় ডিঙ্গি নৌকায় করে নদীতে ঘুরতে মন চাইল। মিকাকে জিজ্ঞেস করলাম ও নদী নৌকায় চড়তে চায় কিনা। মিকা জানালো ও ঘুরতে চায়, কিন্তু আগে কখনও চড়েনি তাই একটু ভয় ভয় লাগছে। ভয়ের কাছে মনের ইচ্ছার পরাজয় হতে দেয়া যাবে না। গিয়ে হাজির হলাম নৌকার কাছে। আঠারো ঊনিশ বয়সী মাঝির সাথে কথা বলার উপায় নাই ভাষার কারণে। মাঝি আর নৌকার যাত্রীরা ইশারা করলো উঠে বসার জন্য। উঠতে গিয়ে আমি আর মিকা দু’জনই পিছলে গিয়ে কাদায় পা গেড়ে ফেললাম আর নৌকার মানুষকে বিনোদন দিলাম। দু’এক জন এসে আমাদের টেনে নৌকায় তুলে দিল। স্থানীয় মানুষের সাথে আমরাও নৌকায় চড়ে বসলাম। কেউ কারো ভাষা না জানলেও ঠিকই কথা বলা শুরু হয়ে গেল। ওদের কথা না বুঝেই উত্তর দিতে লাগলাম আমরা কে কোথা থেকে এসেছি। জানালাম ওদের দেশ্টা আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে। পুরো ইংরেজি না জানলেও, বিউটিফুল আর নাইস সবাই জানে। মাঝ নদীতে এসে টের পেলাম নদী বেশ ভালই গভীর। কিন্তু, এখন শুকনো মৌসুম বলে হয়ত তীরের কাছে পানি কম ছিল। ওপারের যাত্রী নামিয়ে ফেরার সময় মাঝিকে বলা লাগলো না, সে নিজ থেকেই আমাদের নিয়ে কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক নৌকা বাইলো। নামিয়ে দেবার পর মাঝি আর টাকা নিতে চায় না। কি মুশকিল! জোর করে কিছু টাকা দিয়ে আমরা উঠে এলাম পাড়ে।
ইরাবতী নদীর কথা প্রথম শুনি আমাদের দেশের নদীর ডলফিন শুশুকের ইংরেজি নাম শিখতে গিয়ে। শুশুকের ইংরেজি নাম ইরাবতী ডলফিন। ইরাবতী নদীর নাম অনুসারে এর নাম ইরাবতী ডলফিন। এখন ইরাবতী নদীতে মাত্র ৬০-৭০ টা শুশুক হয়ত আছে, মিয়ামারে শুশুক আশঙ্কাজনকভাবে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি আছে বাংলাদেশে, প্রায় ৩৫০০ এর মত। এই শুশুক মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, মালায়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ইন্ডিয়ার কিছু নদীতেও পাওয়া যায়, সব মিলিয়ে ৭০০০ হাজারের কাছাকাছি শুশুক বা ইরাবতী ডলফিন আছে পৃথিবীতে। একবার খবরে পড়েছিলাম শুশুককে ট্রেনিং দিয়ে নাকি জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যাবহার করে। জেলের পোষা শুশুক মাঝের দলকে ধাওয়া করে জালের ফাঁদে ফেলে। এই ইরাবতীর পানি আসছে সেই হিমালয়ের হিমবাহ গলে গলে।
বার্মার উত্তরের কাচিন প্রদেশের পর্বত থেকে বয়ে চলা মালি খা নদী এসে মিশেছে ন’মাই নদীতে। তারপর দুই নদী এক হয়ে নাম হয়েছে ইরাবতী, সবচেয়ে বড় নদী । ইরাবতীর উৎস মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশ, যেটি চীনের সীমান্তবর্তী শহর ইয়ুন্নারের কাছাকাছি অবস্থিত। ইতিহাস বলে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বামার জাতি এসেছে চিনের ইয়ুন্নান প্রদেশ থেকে। ইয়ুন্নান থেকে বামার জাতি হাজার বছর আগে তৎকালীন শাসকের হাত থেকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য চলে এসেছে মিয়ানমারের এই অঞ্চলে। তারপর ছড়িয়ে গেছে বর্তমান মিয়ানমারের পুরো অঞ্চল জুড়ে। তখন মিয়ানমার বলে কোন দেশ ছিল না। পাগান রাজ্যের রাজা আনারাথা, যে ছিল বামার জনগোষ্ঠীর একজন, একাদশ শতকে বর্তমান মিয়ানমারের এই অঞ্চলের বিছিন্ন রাজ্যগুলোকে এক করে গড়ে তুলেন বার্মা নামের দেশ, যার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাগান রাজ্য, আজকের প্রত্নতাত্ত্বিক বাগান শহর। রাজা আনারাথা একক বর্মীয় জাতীয়তাবাদের সূচনা করেন। তার এই উদ্যোগের ফলে বার্মার অধিবাসী মানুষের নির্দিষ্ট একটি সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত পরিচয় তৈরি হয় বহিঃর্বিশ্বে, একই সাথে উপেক্ষিত হয় অন্যান্য সংখ্যালঘু মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি। সেটি দেশের নাম ‘বার্মা’করণ থেকেই বোঝা যায়। বামার জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বার্মায় অবস্থিত অন্য জাতিগোষ্ঠীর থেকে নিজেদের অনেক শ্রেয় এবং সভ্য মনে করে। সমগ্র অঞ্চলকে একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ছাতার নিচে আনতে গিয়ে অন্যান্য সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করার ফলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভেতরে যে-ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তা এখনও বিদ্যমান। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বার্মার মূলধারা থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব রাষ্ট্র গড়ে তুলার আন্দোলন শুরু করে। থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী কারেন প্রদেশের কারেন জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বার্মা থেকে আলাদা হয়ে যাবার দাবী করে এবং সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে। বার্মার সরকার এবং কারেনদের মধ্যকার সংঘাতের কারণে বড় সংখ্যার কারেণ জনগোষ্ঠীর মানুষ থাইল্যান্ডে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। চীনের প্রতিবেশী কাচিন প্রদেশ কিছুকাল শাসন করেছিল চীনা শাসকেরা। তারপর আবার বার্মার শাসক দখল করে নেয় কাচিন প্রদেশ। এই প্রদেশ নিয়ে চীন এবং বার্মার মাঝে টানাটানি চলেছে ব্রিটিশ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত। ব্রিটিশেরা ক্ষমতায় এসে কাচিন প্রদেশকে স্বায়ত্বশাসন দেয়। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হলে কাচিন নতুন স্বাধীন বার্মা সরকারের সাথে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় শাসন মেনে নেবার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয় । কাচিনের প্রধান ভাষা ছিল জিংপো, সংখ্যালঘু জাতি ছিল কাচিন জাতি। কাচিন জাতির মানুষেরা ছিল প্রকৃতি পূজারি।
১৯৪৮ সালে সরকারি কাজের কারণে বামার জনগোষ্ঠীর মানুষেরা এই প্রদেশে আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে সরকারি অফিসের ভাষা কাচিন থেকে হয়ে যায় বার্মিজ, প্রকৃতি পূজারিরা গ্রহণ করতে শুরু করে বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ধর্ম। একই সাথে আলাদা রাষ্ট্র গড়ার সশস্ত্র আন্দোলনও জোরদার হয়। একই চিত্র কাচিনের পাশের শান প্রদেশেও। বার্মার সরকারের সাথে কাচিন ও শান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদের আন্দোলনের ফলে এই অঞ্চলের মানুষ আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে প্রতিবেশী চীন দেশে।
২০১৫-২০১৭ সাল পর্যন্ত শান প্রদেশের ৫০ হাজারের বেশি কোখং জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজ ভুমি থেকে বিতাড়িত হয়ে চীনে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, চীন ঢুকতে দেয়নি এবং মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করে যেন জাতিসংঘের কোন সংস্থাকে সেখানে কাজ করতে না দেয়া হয়। আর মিয়ানমারও চীনের আদেশ মেনে নেয়। যদিও মানবিক দিক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে জাতিসংঘ সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু করে। যদিও চীন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক ১৯৫১ কনভেনশনের অন্তর্ভুক্ত দেশ, তথাপি চীন কখনও আশ্রয়প্রার্থী মানুষদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, এই মানুষদের চীন নাম দিয়েছিল ‘সীমান্তবর্তী বাসিন্দা’। জাতিসংঘ মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্তের কাছে ক্যাম্প করে এইসব মানুষদের থাকার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। আর আরাকান রাজ্য মানে রাখাইন প্রদেশের মানুষ যে আলাদা শাসন ব্যাবস্থা চায় সে আমরা অনেকেই হয়তো জানি রহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার কারণে।
ইরাবতী নদীর ওপারে পাহাড়ি মাগওয়াই বিভাগ। মিয়ানমারের সামরিক সরকার এই জেলাতে পৃথিবীর প্রথম মানুষের জন্ম হয়েছে বলে দাবী করেন কারণ এখানে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যদিও কোন নৃ-বিজ্ঞানীরা এই দাবী করেননি। দূরের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, এইসব পাহাড়ের ভেতরে আছে মানব পাচারকারীদের অসংখ্য ক্যাম্প। মূলত মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষেরা বিশেষ করে রহিঙ্গারা মালোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এই পথ ব্যাবহার করে। অনেক কাচিন এবং শান প্রদেশের মানুষও ব্যাবহার করে এই পথ চীনে যাবার জন্য। পাচারকারীরা এইসব সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে দেশ ছাড়তে চাওয়া মানুষদের নিয়ে আসে মাগওয়াই এর পাহাড়ের ভেতরে তাদের ক্যাম্পে। সেখানে তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন আদায় করে। আর মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারলে তাদের উপর চলে অমানুষিক অত্যাচার। একবার একজনের কাছে শুনেছিলাম, টাকা দিতে পারেনি বলে পাচারের শিকার মানুষদের দিনের বেশিরভাগ সময় উল্টো করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এদের গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় দিনের পর। পত্রিকার এক খবরে পড়েছিলাম এইসব জঙ্গলের ভেতরে মাসের পর মাস একটু ভাল জীবনের আশায় ঘর ছাড়া মানুষদের আটকে রাখা হয় অমানবিক পরিবেশে। দিন। পাচারকারীদের জিম্মি থেকে পরিবারের মানুষকে বাঁচাতে অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়েছে, হারিয়েছে নিজের শেষ সম্বল ভিটেমাটি। এ যেন জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করবার সুপরিকল্পিত দুষ্ট-চক্র।
এক মেয়ের কথা জেনেছিলাম, যে মাগওয়াইয়ের জঙ্গলের ক্যাম্পে ধর্ষিত হবার পর গর্ভবতী হয়, এবং সেই ক্যাম্পেই সন্তানের জন্ম দেয়। সমুদ্র যখন শান্ত থাকে সংখ্যালঘু মানুষেরা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ভিনদেশে যাবার চেষ্টা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আর অন্যসময়ে তারা ইরাবতীর ওপারের মাগওয়াই-এ আসে স্থলপথে দেশ ছেড়ে যাবার জন্য। অশান্ত এই অঞ্চল ছাড়ার জন্য মরিয়া মানুষদের অসৎভাবে ব্যাবহার করে থাইল্যান্ড, চীন বা মালয়েশিয়ার ব্যাবসায়ীরা। জোরপূর্বক শ্রমিকের কাজে এদের নিয়োজিত করা হয়। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, কাচিন বা শান প্রদেশের মেয়েদের চীনে পাচার করা হয় বউ হিসেবে বিক্রি করার জন্য। পরিবারের লোকেরা ভাবে মেয়ের হয়তো একটা গতি হল। ২০০৫-এ আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথ-এর করা একটি গবেষণায় জানা যায়, চীনে প্রতি ৪ জন নারীর একজন তাদের স্বামী বা প্রেমিকের হাতের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর, কিনে নেয়া ‘বউ’দের জীবনে কি ঘটে সেটি বলবার অপেক্ষা রাখে না। আবার পাচারকৃত মেয়েদের একংশের স্থান হয় থাইল্যান্ডের পতিতালয়গুলোতে। পুরুষরা যারা পাচারের শিকার হয় তাদের বড় অংশ জোরপূর্বক শ্রম কাজে নিয়োজিত হয়। বিশেষত থাইল্যান্ডের মাছ ধরা এবং এ-সংক্রান্ত কারখানাগুলো, কৃষিকাজ এবং রাবার বাগানে এরা কাজ করে। মালয়েশিয়ার নির্মাণ শ্রমিকের কাজেও এদের নিয়োজিত করা হয়। এখানকার জাতিগত সংখ্যালঘুদের জীবন ইরাবতী ডলফিনের মত সঙ্কটাপন্ন, এরা নিজের ভূমি মিয়ানমার ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কেবল একটু নিরাপদে বাঁচবার জন্য।
ইরাবতীর তীরে সন্ধ্যা নেমে আসে। আমাদের ফেরার পালা এবার। কাল ভোরে রওনা দেব মান্দালে শহরের উদ্দেশ্যে। হঠাৎ আমার চিজ কেক খেতে ইচ্ছে হল। মিকা শুনে হেসে জানালো, এই প্রথম আমার মুখ থেকে দামী কোন খাবার খাওয়ার ইচ্ছের কথা শুনেছে। সন্ধ্যার অন্ধকারে আমরা বাগান শহরে চিজ কেক খোঁজার অভিযানে বের হলাম।