ইরানে কয়েক ডজন স্কুলে ছাত্রীদের অসুস্থতার পেছনে একের পর এক সন্দেহজনক বিষপ্রয়োগের ঘটনার যোগসাজশ নিয়ে রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এখন পর্যন্ত ব্যাখ্যাতীত অসুস্থতায় সামপ্রতিক মাসগুলোতে দেশটির কয়েকশ ছাত্রীকে ভুগতে দেখা গেছে। ইরানি কর্মকর্তাদের ধারণা, ছাত্রীদের বিষপ্রয়োগ করা হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এর পেছনে তেহরানের শত্রুরা আছে বলেই তাদের আন্দাজ। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, স্কুলছাত্রীদের হালকা বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
যে কট্টরপন্থি ইসলামী গোষ্ঠীগুলো নারী শিক্ষার বিরোধী, তারা ছাত্রীদের টার্গেট করে বিষপ্রয়োগ করতে পারে বলে দেশটির অনেক রাজনীতিকেরই অনুমান, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, তদন্তকারীরা সন্দেহজনক নমুনা পেয়েছেন, যেগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা
হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানে সন্দেহজনক নমুনা মিলেছে, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার কারণ বের করতে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ফলাফল যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করা হবে, এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলরেজা রাহমানি ফাজলি এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা।
শনিবারও দেশটির ৩১টি প্রদেশের ১০টির ৩০টির বেশি স্কুলে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মেলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওতে সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যেতে অভিভাবকদের স্কুলে ছুটে আসতে এবং কিছু শিক্ষার্থীকে বাসে বা অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। স্কুল ছাত্রীদের
অসুস্থতা নিয়ে শনিবার তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে জড়ো হওয়া অভিভাবকদের একটি বিক্ষোভ পরে সরকারবিরোধী কর্মসূটিতে রূপ নেয়। বাসিজ, রক্ষীবাহিনী, তোমরাই আমাদের দায়েশ, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার তুলনা দিয়ে
স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। তেহরানের আরও দুটি জায়গায় এবং ইসফাহান ও রাশতের মতো অন্যান্য শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিও দেখে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি তারা।