বিশ্বকাপে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান। ১৯৯৮ সালের সেই বিশ্বকাপে ইরানের কাছে ২–১ গোলে হেরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই ম্যাচ নিয়ে ইরানের সোশ্যাল মিডিয়া এমনকি কোনো কোনো সংবাদপত্রেও লেখা হয়েছে ‘গ্রেট শয়তান ১:২ ইরান’। যা নিয়ে এবার কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই দেশের ফুটবলাঙ্গন। অভিযোগ হিজাব–বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল ফেডারেশন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের জাতীয় পতাকার বিকৃত ছবি দিয়েছে। পতাকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রতীক। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘ইরানের যে নারীরা সাধারণ মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছেন, আমরা তাদের পাশে রয়েছি।’বিষয়টি নজরে আসতেই সরব হয়েছে ইরানের ফুটবল ফেডারেশন। জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে ফিফার এথিকস কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে কমপক্ষে ১০টি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফিফার আইনকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে বিশ্বকাপের আসরে এই ধরনের প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্যও ফিফার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ফিফার পক্ষ অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ইরানের দাবি মেনে প্রতিবাদীদের আটকানোর নির্দেশও দেয়নি ফিফা। অন্যদিকে, ইরানের এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র দলের সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। ইরানের সাংবাদিক শেরভিন তাহেরি আমেরিকার দুই ফুটবলার টিম রিয়াম এবং ওয়াকার জিমেরম্যানকে ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সংক্রান্ত প্রশ্ন না– করার অনুরোধ করার পরও তাহেরি উত্তরের জন্য চাপ দেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের সময় ফুটবলারদের বিতর্ক থেকে দূরে রাখতে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করে দেন আমেরিকা ফুটবল দলের ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন মাইকেল কামেরম্যান। ৩০ নভেম্বর দুই দল কাতারে মুখোমুখি হবে গ্রুপ পর্বের খেলায়।