ইরাকের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকবে : মেয়র

| সোমবার , ১৪ মার্চ, ২০২২ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ ও ইরাকের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মেয়রের সাথে গতকাল রোববার নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে ইরাকের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স আব্দুলসালাম সাদ্দাম মুহাইছেন সৌজন্য সাক্ষাত করলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, ইরাক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, যে বন্ধুত্বের ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা করে গেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২সালের ৮জুলাই ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইরাকের সাথে বন্ধুত্বের গুরুত্বের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ইরাকের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। সরকার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করেছে এবং বেশকিছু আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ইরাক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। মেয়র ইরাকের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্সকে নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা সম্পর্কে ধারণা দেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সৌন্দর্য অবলোকন করার আহ্বান জানান।
এসময় ইরাকের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইছেন বলেন, বাংলাদেশে আসার পর চট্টগ্রামে এটা আমার প্রথম সফর। নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং আতিথেয়তায় আমি বিমুগ্ধ। অপার সম্ভাবনাময় বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যেকোন দেশ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইরাক বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা চাচ্ছে পিবিআই
পরবর্তী নিবন্ধরেড ক্রিসেন্টের কোভিড বিষয়ক কর্মশালা