ইরাকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ১৫ সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টকম)। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, অসংখ্য অস্ত্র, গ্রেনেড ও আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট সজ্জিত আইএস সদস্যদের মোকাবেলা করেছে ইরাকি ও মার্কিন সেনারা। এতে বেসামরিক হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনায় সাত সেনা আহত হয়েছেন। সেন্টকম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে ইরাকি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এরপর দেশটির জনবসতিহীন এলাকায় ও গুহায় বিমান অভিযান চালানো হয়।
সমস্ত আস্তানা, অস্ত্র এবং লজিস্টিকাল সহায়তা ধ্বংস করা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্টের নিরাপদ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি, শনাক্তকরণের কাগজপত্র এবং যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও পেন্টাগনের বক্তব্য জানাতে সেন্টকমকে অনুরোধ করেছে বিবিসি। সেন্টকম বলেছে, এই অঞ্চলের ভেতরে ও বাইরে আমেরিকান, ইরাকি এবং মিত্রদের ওপর আক্রমণের ক্ষমতা ব্যাহত ও হ্রাস করতে আইএস সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন সামরিক বাহিনী দেশটিতে যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তারা সেখানে পরামর্শ ও সহায়তা দিতে থেকে গেছে। ১৫ অগাস্ট ইরাক ঘোষণা দেয়, সেখানে মার্কিন সামরিক অভিযানের সমাপ্তির যে দিনক্ষণ আছে তা স্থগিত করা হবে। বিবিসি লিখেছে, জার্মানিতে সামপ্রতিক হামলা এবং অস্ট্রিয়ার একটি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্ত চলার মধ্যে বৃহস্পতিবারের অভিযান চালানো হলো।